স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেই এফসিপিএস ডাক্তার বনে যাওয়া এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ভুয়া ডাক্তার নিজেকে শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত রোববার রাতে রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ায় ‘যশোর মেডিসিন কর্ণার’-এ অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার ওয়ালী উর রেজাকে এ সাজা দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।
গতকাল সোমবার সরোয়ার আলম বলেন, চেম্বারের নাম ফলকে তার নামের পাশে ‘এমবিবিএস (ঢাকা), এম.ডি (শিশু) ও এফসিপিএস (শেষ পর্ব)’ লাগিয়েছেন। তবে অভিযানের সময় তিনি কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন নি। তিনি র্যাবকে জানিয়েছেন, এইচএসসি পাস করেছেন মাত্র। এরপর আর পড়াশোনা করেননি। একটি মেডিসিনের দোকানে থাকতেন। সেখান থেকেই নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচিত করেন। পরে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ঐ ডাক্তারের মাসিক আয় ৩ লাখ টাকারও বেশি। টাকার লোভেই তিনি ভুয়া ডাক্তার হয়ে ওঠেন। এটি মানুষের সাথে প্রতারণা। মানুষের সেনসিটিভ জায়গা হচ্ছে শিশু সন্তান। সেই শিশুকে নিয়ে তিনি চিকিৎসা সেবার নামে ব্যবসা খুলেছেন।
কেউ অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো রোগী অভিযোগ করেনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ রকম ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।