বিআরটিএ’তে ১৫ দালালের কারাদন্ড এবং ৯ জনকে অর্থদন্ড খুলনায় একের পর এক র‌্যাবের অভিযান খুশি আমজনতা

বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: কিছু দিন পূর্বে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করার জন্য কয়েকবার অভিযান চালায় র‌্যাব। আটক করা হয় কয়েকটি ডায়াগনষ্টিকের মালিক সহ ডজন খানিক দালালকে। এছাড়া বিগত ২০১৭ সালে র‌্যাবের অভিযানে বন্ধ হয়ে যায় খুলনায় নকল ওষুধের কারখানা। বেরিয়ে আসে এর সাথে জড়িত নামকরা এক ব্যবসায়ীর নাম। এ ধরণের র‌্যাবের বিভিন্ন অভিযানে স্বস্তি ও আনন্দিত খুলনাবাসী।
গত মঙ্গলবার নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন বাদামতলা বিআরটিএ অফিসে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৬’র একটি দল অভিযান চালিয়ে ২৪ জন দালালকে গ্রেফতার করে। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ৯ জনকে অর্থদন্ড করা হয়।
র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, দীর্ঘদিন ধরে খুলনা বিআরটিএ অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ। দূর দূরান্ত থেকে অফিসের সুবিধা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে একটি দালাল চক্র কাজ করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক সপ্তাহ ধরে অবজার্ভ করে র‌্যাব দালাল ধরতে ফাঁদ পাতে। তারই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে তাদেরকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীনের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৪ জনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১ জনকে ৫ হাজার টাকা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৯ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মোঃ ইকবাল (৩৮), মোঃ মোক্তার হোসেন (৪০), আসিবুর রহমান (২০), মোঃ আব্দুল কাদের (৪০), আঃ রহিম (৫২), শফিকুল লষ্কর (৩২), মোঃ আব্দুল কাদের (৩২), মোঃ শাকিল হোসেন (৩৫), মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৫). মোঃ রবিউল ইসলাম (২২), মোঃ কামাল উদ্দিন মিয়া (৪২), মোঃ সুলতান (৩৫), শেখ আবুল হাসান (২৯), মোঃ আব্দুল মান্নাফ (২৮)। দারক দাস (২৮) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল এবং অর্থদন্ডে দন্ডিতরা হলো মোঃ নকিবুর রহমান (২৫) ৫ হাজার টাকা, মোঃ রুবেল (২৪) ১ হাজার টাকা, স্কেন্দার আলী (৫৫) ৫ হাজার, ইমরান হোসেন (৩৮) ৫ হাজার, আরজ উদ্দিন (২৯) ২ হাজার, ওমর ফারুক (৩০) ২শ’ টাকা, মোঃ রাসেল (৩০) ৩ হাজার টাকা, মঞ্জুরুল আহম্মেদ (২৮) ২ হাজার টাকা, মোঃ সুজন (২৫) ৫ হাজার টাকা। অভিযান শেষে র‌্যাব-৬ এর স্পেশাল কমান্ডার এনায়েত হোসেন সাংবদিকদের ব্রিফ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দালাল মুক্ত করতে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করেন। দালালদের মধ্যে যারা এই পেশায় নতুন এসেছে স’ানীয় এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাদেরকে নগদ অর্থদন্ড প্রদান করা হয় এবং যারা চিহ্নিত তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে দালালমুক্ত করতে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post