বাজারে পিয়াজের দাম শ’য়ের কোটা পেরিয়ে একশ’ বিশে পৌঁছেছে। তাও আবার একদিনেই কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ টাকা। এদিকে মুরগির বাজারদরও ১২০ টাকা। পিয়াজ আর মুরগি সমানে সমান।
যদিও এই সময়ে চাল থেকে শুরু করে মাছ, মুরগি, ডিম, সবজি সবকিছুরই দাম অনেক কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোনো কিছুরই বাজারদর তেমনভাবে কমেনি। এমনকি শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে থাকা সত্ত্বেও তার দাম তেমন কম নয়। এক মাস আগের চেয়ে একটু কমেছে, এই যা। এক মাস আগে যে সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা ছিল, তা কমে হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু শীতের মৌসুম হিসেবে এই দাম ততটা কম নয়। ওদিকে কৃষকরা পাচ্ছে না ন্যায্য মূল্য। এদিকে ভোক্তারা হচ্ছে নাকাল। লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বতভোগীরা। আবার নবান্নের মৌসুম হিসেবে চালের দামও কমেনি। মোটা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৩-৫৫ টাকা এবং সরু মিনিকেট চাল ৫৮-৬০ টাকা। এই বাজারদরে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের নাভিশ্বাস অবস্থা। চাল, ডাল, কাঁচা বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও। যা সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য অনেক কষ্টকর।
পুনশ্চ : সাধারণ মানুষের সাধারণ খাবারের মধ্যে মাছ আর মুরগির মাংসই ভরসা। এর দামের লাগামেও তেমন টান পড়ছে না। আবার প্রতিটি তরকারি রান্নার জন্য অত্যাবশ্যকীয় মসলা পিয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া!