বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন

 

Kbdnewsঅর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৮১৬ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা প্রায় ৭ দশমিক ৮৫ মাসের গড় আমদানি ব্যয়ের সমান। তবে গত বছরের অর্থাৎ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এই পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৩৮৫ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ছিল উক্ত সময়ের প্রায় ৮ দশমিক ৫ মাসের গড় আমদানি ব্যয়ের সমান। ফলে বাৎসরিক হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। সমপ্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন’ হতে জানা গেছে এই তথ্য। প্রতিবেদনে সর্বশেষ ২২ নভেম্বর তারিখের রিজার্ভ মুদ্রার পরিস্থিতির হিসাবে জানানো হয়েছে, ঐদিন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৪৭০ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এদিকে প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যমান থাকায় এবং সামপ্রতিক সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক/মানব সৃষ্ট দুর্যোগ (বন্যা, হাওর এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ) এর ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহের উপর চাপ সৃষ্টির সূত্রে খাদ্য-মূল্যস্ফীতিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বারো মাসের গড়ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি চলতি বছরের জুন মাসের শেষের হিসাব ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্টেম্বর মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুন মাসের শেষের হিসাব ৬ দশমিক ০২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্টেম্বর মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। অপরদিকে গড় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জুন মাস শেষের হিসাব ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকে হরাস পেয়ে সেপ্টেম্বর মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। পয়েন্ট-টু-পয়েন্টভিত্তিক সাধারণ মূল্যস্ফীতি জুন মাস শেষের হিসাব ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে হরাস-বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সেপ্টেম্বর মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post