গাংনীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়েছে

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম :  গাংনীতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১ম পর্যায়ের অনুমোদিত প্রকল্প সমূহের মাটি কাটা কাজে কাগজে কলমে লেবার দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।ফলে উপজেলার ৯টি ইউপিতে নেয়া ৪০ টি প্রকপেস্ন কর্মসংস’ান কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত ফেব্রম্নয়ারি মাসের ১১ তারিখ থেকে গাংনী উপজেলায় কাজ শুরম্ন হলেও বেশীর ভাগ প্রকল্পে কাজ শুরম্ন করা হয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগে।উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য নেয়া কর্মসংস’ান কর্মসূচিতে সর্বমোট শ্রমিকদের নামের তালিকা করা হয়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন ।এদের মধ্যে পুরম্নষ শ্রমিক ১ হাজার ৯৩ জন এবং মহিলা ৫শ’২১ জন। প্রকল্প বাসত্মবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৯ লড়্গ ১২ হাজার টাকা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,বিভিন্ন প্রকল্পে নির্ধারিত শ্রমিকের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ শ্রমিক কাজ করছে। বাদবাকী শ্রমিক কাগজে থাকলেও কাজের মাঠে অনুসি’ত।সবচেয়ে কম সংখ্যক শ্রমিক পাওয়া গেছে তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপিতে।তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপির পিআইসি জাকির হোসেন মেম্বরের প্রকল্পে ৬০ জন শ্রমিকের বিপরীতে উপসি’ত পাওয়া গেছে ২৭ জন।লেবার সর্দ্দার আজিজুল হক জানান, নিজেদের কাজ রেখে অনেকেই আসেনা।অথচ মেম্বর জয়েনউদ্দীন জানান, আমার পলাশীপাড়া গ্রামের ৭ জন লেবার তালিকাভুক্ত থাকলেও চেয়ারম্যান তাদের বাদ দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। ধানখোলা ইউপির পিআইসি কামরম্নল ইসলাম মেম্বরের প্রকল্পে ৭৮ জন লেবারের মধ্যে উপসি’ত ৪৩ জন।এদের মধ্যে বেশীর ভাগ পুরাতন তালিকাভুক্ত লেবার বাদ দিয়ে নতুন ভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে,ইজিপিপি কর্মীদের নাম কেউ মারা না গেলে অথবা অসুস’ না হলে বাদ দেয়া যাবে না।এছাড়া এ্‌কই ইউনিয়নের পিআইসি বছিরউদ্দীন মেম্বরের ৩৮ জন লেবারের মধ্যে ২৪ জন কে পাওয়া গেছে। কাথুলী ইউপির পিআইসি আনারম্নল ইসলাম মেম্বরের প্রকল্পে ২০ জন লেবারের ১০ জনকেও পাওয়া যায়নি।কাজীপুর ইউপির পিআইসি রফিকুল ইসলাম মেম্বরের প্রকল্পে ৩৩ জনের মধ্যে ২০ জন, পিআইসি পারভীন আক্তার মেম্বরের প্রকল্পে ৩৭ জনের স’লে ২০ জন, পিআইসি লিটন মেম্বরের প্রকল্পে ৩৮ জনের মধ্যে ৩১ জন এবং পিআইসি স্বয়ং চেয়ারম্যান রাহাতুলস্নাহর প্রকল্পে ৬৯ জন লেবারের মধ্যে মাত্র ২৭ জন লেবার উপসি’ত পাওয়া গেছে। সর্দ্দারদের কাছে লেবারের তালিকা সংবলিত রেজিষ্টার খাতা সরবরাহ করা হলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না।এছাড়াও অদ্যাবধি লেবারদের হাতে তাদের কার্ড আজও দেয়া হয়নি।এসব কার্ড মেম্বররা তাদের নিজের কাছে রেখে মনগড়া হাজিরা করছেন।আরও জানা গেছে , চেয়ারম্যান ও ড়্গমতাসীন দলের নেতাদের সুপারিশে প্রতিটা প্রকল্পে ৫ থেকে ১০ জনের নাম অনত্মর্ভুক্ত করা হয়েছে। যারা কখনই হাজিরা দেন না।তালিকায় নাম থাকার কারনে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাসত্মবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী দিলিপ কুমার সেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সিদ্ধানত্মক্রমে শ্রমিকদের হাজিরা সংক্রানত্ম বিষয়ে শতকরা ১০ ভাগ ছাড় দেয়া হবে।সর্বমোট শ্রমিকের মধ্যে উপসি’তি মোটামুটি ভাল তবে চেয়ারম্যান রাহাতুলস্নাহ ও জাহাঙ্গীর হোসেন এর স্বেচ্ছাচারিতার কারনে যথাক্রমে কাজীপুর ও তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপিতে হাজিরা খুবই কম। সেজন্যে আমি তাদের বিল আটকিয়ে দিয়েছি।লেবার উপসি’তি সনেত্মাষজনক না হলে বিল দেয়া হবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post