দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষক

dhan

KBDNEWS : চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে দিনমজুর সঙ্কটে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষক। হাজারও একর জমিতে পড়ে রয়েছে পাকা ধান। ধানের বাম্পার ফলন হলেও দিনমজুর সঙ্কট এবং ন্যায্য দাম না থাকায় কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে-ফিরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে পড়ে রয়েছে পাকা ধান কিন্তু দিনমজুর না থাকার কারণে ধান কেটে ঘরে নিয়ে আসতে পাড়ছেন কৃষকরা।

অপরদিকে কালবৈশাখীর ছোবলে পাকা ধান খেতে পড়ে যাওয়া আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কথা হয় শান্তিরাম ইউনিয়নের কৃষক তারা মিয়া, মোজাম্মেল হক ও আশেক আলীর সাথে। তারা বলেন, প্রতি বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৮শ হতে ২ হাজার টাকা। আবার মাড়াই করার জন্য মেশিন ভাড়াসহ দিতে হচ্ছে ৫শ হতে ৬শ টাকা এবং পরিচর্যা করার জন্য নারি শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে ৩শ হতে ৪শ টাকা। সব মিলে ১ বিঘা জমির ফসল ঘরে তুলতে খরচ হচ্ছে ৮ হাজার হতে ৯ হাজার টাকা। তারা বলেন, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০ টাকা হতে ৫শ টাকা দরে। হিসাব করে দেখা গেছে প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হচ্ছে ব্রি-২৮ ধান ১৪ হতে ১৬ মণ এবং হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন হচ্ছে ১৮ হতে ২০ মণ। যার দাম ৮ হাজার হতে ১০ হাজার টাকা। এতে করে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে ইরি- বোরো চাষাবাদে লাভ তো দূরের কথা বিঘাপ্রতি ১ হাজার হতে ২ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, এসময় যদি কালবৈশাখী ঝড় আসে তাহলে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে নিম্ন আয়ের বা দিনমজুর শ্রেণীর লোকজনরা এখন আর ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছেন না। তাছাড়া বেশি কামাইয়ের আশায় দিনমজুররা ছুটছেন ভিন্ন জেলায়। যার কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই চরম দিনমজুর সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ২৬ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর উফশি ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দর একটু কম হওয়ায় কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ জন্য ধানের পাশাপাশি অন্য ফসলের চাষাবাদে আমাদের বেশি করে ঝুঁকে পড়তে হবে।

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post