রাবার ড্যাম নির্মিত হওয়ায় আশাবাদী হাওড়পাড়ের ২ লাখ কৃষক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনসুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে দেশের সর্ববৃহৎ মিছাখালী রাবার ড্যাম নির্মিত হওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠেছে হাওরপাড়ের প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক। জানা যায়, আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢল থেকে হাওরপাড়ের কৃষকদের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে রাবারড্যাম নির্মাণের উদ্যেগ নেয় সরকার।
২০১৪ সালের মে মাসে ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য দেশের সর্ববৃহৎ রাবারড্যামের কাজ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শক্তিয়ারখলা এলাকায় নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি রাবারড্যাম এলাকায় সরেজমিনে গেলে স্থানীয় কৃষকরা জানান, সিরাজপুর পূর্বপাড়া ও উলাসনগরের নিকটবর্তী মিছাখালী নদীতে রাবারড্যাম নির্মিত হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। একদিকে যেমন আমাদের বোর ও আমনের ফলন রক্ষা পাবে অন্যদিকে নদীর উপর দিয়ে আমরা এক গ্রাম অন্য গ্রামের চলাচলের সুবিধা হয়েছে।

উলাসনগর গ্রামের কৃষক তাহের মিয়া জানান, রাবারড্যাম নির্মাণের আগে যাদুকাটা নদীর বালু, মাটি আমাদের আঙ্গারুলী, সোনার হাওর ও খরচার হাওরের বোরো ও আমন জমি ভরাট হয়ে ফসল বা সবজি লাগানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ত, রাবারড্যাম নির্মাণের কারণে এ বছর আর আমাদের ক্ষতি হবে না। সিরাজপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. বাদল মিয়া জানান, উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষা আর অর্ধশতাধিক গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা করে দিয়েছে রাবারড্যাম।

পূর্বে মিছাখালী নদীর পানি ঢুকে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর বোরো ফসলের পাশাপাশি আরো ১৫ হাজার হেক্টর আমন ফসল, বীজতলা, সবজি বাগান ক্ষতি হতো।

রাবারড্যাম নির্মাণের কারণে এ বছর জগন্নাথপুর, ডরেরপাড়, খাইয়ের কান্দা, শক্তিয়ারখলা, বালীজুরি, দিঘারপাড়, গোপালপুর, আলীপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষকের শান্তিতে আঙ্গরুলী, খরচার হাওড়পাড়ের বোরো ও আমন ফসল ঘরে উঠাতে পারবে।

এতে উপকৃত হবে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক। সেগুনবাগিচাস্থ মেসার্স কেবিআই-এসএসকে জেভি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার ছয়ফুল ইসলাম জানান, আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে করে যাচ্ছে। আশা করছি নিদৃষ্ট সময়ের ভিতরেই কাজ সৃষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। সিলেট রিজিওনের নির্বাহী প্রণোজিৎ কুমার দেব বলেন, আমরা কাজের গুণগতমান সটিক রেখে কাজটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই রাবার ব্যাগ ফুলানো হয়েছে এবং ফুট অভার ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি ৩০ জুনের মধ্যে শতভাগ কাজ সমাপ্ত হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post