অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) তথ্য বিশ্লেষণ করে সরকার বলছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি’র মতে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। এছাড়াও আইএমএফ’র পক্ষ থেকে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলীর গতি-প্রকৃতি বিচার ও বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নতুন এই ইঙ্গিত দেয়া হলো। ২০১৬ সালে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’র (এসকাপ) হালনাগাদ জরিপে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ প্রাক্কলন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আইডিবি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জরিপ প্রকাশ করা হয়।
জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরে এসকাপ’র অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ড. শুভজিৎ ব্যানার্জি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে উন্নত বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চললেও রফতানি ও কৃষি খাতের উন্নতির কারণে বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। তাই বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরে ডিজিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ব্যয়ের জন্যই আসলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে অন্য সংস্থাগুলোর চেয়ে ইউএন-এসকাপ বেশি ইতিবাচক। বিশ্ববাজার ও অভ্যন্তরীণ বাজার যদি অনিশ্চয়তার মুখে না পড়ে তাহলে পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত আরও কিছুটা এগিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির চলমান ধারা বজায় রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিতে হবে।
শুভজিৎ ব্যানার্জি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরে যেভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ। মূলত অবকাঠামো উন্নয়নের অভাবে দেশে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ হচ্ছে না।
জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স প্রমুখ।