বাণিজ্যিক ট্রলার গুলো চিহ্নিত এলাকায় মাছ ধরে

বাণিজ্যিক ট্রলার গুলো বঙ্গোপসাগরে সাধারণত চিহ্নিত ও পরিচিত এলাকায় মাছ ধরে ছায়েদুল হক বলেন। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও এখনো জরিপ পরিচালিত হয়নি। যে কারণে নতুন করে পাওয়া সমুদ্র এলাকার মাছের মজুত সম্পর্কে কারও ধারণা নেই। বাণিজ্যিক ট্রলারগুলোও অপরিচিত এলাকায় মাছ ধরতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন গবেষণা ও জরিপ জাহাজ বাংলাদেশে আসার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন এলাকা জরিপ করা হবে। এরপর মাছের মজুত নির্ণয় করে বাণিজ্যিক ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে।
সামশুল হক চৌধুরীর এ-সম্পর্কিত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া থেকে এক মাসের মধ্যে জরিপ জাহাজ বাংলাদেশে আসবে। সামশুল হকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সারা দেশের প্রান্তিক জেলেদের সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। সে জন্য জেলেদের নিবন্ধন করা প্রয়োজন। বর্তমানে জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র বিতরণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৬৪ জেলায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার জেলেকে নিবন্ধন করা হয়েছে। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধে জেলেদের সরকারের ভর্তুকির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২ জন জেলেকে পরিবারপ্রতি প্রতি মাসে ৮০ কেজি হিসেবে পাঁচ মাসের জন্য ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৪ দশমিক ৮০ টন খাদ্য সহায়তা এবং পরিবারপ্রতি মাসিক এক হাজার টাকা হিসেবে পাঁচ মাসের জন্য ১৯২ কোটি টাকা ২৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
শরীফ আহমদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চাহিদা পূরণের জন্য ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, চীন, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইয়েমেন থেকে ৩০৪ কোটি টাকার ৯৭ হাজার ৩৮৪ টন মাছ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা মাছের মধ্যে রুই, কাতলা, বোয়াল, চিতল, আইড়, ইলিশ, চাপিলা, রুপচাঁদা, ক্যাটফিশ ইত্যাদি রয়েছে। আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মাছের চাহিদা ৪০ দশমিক ৫৫ লাখ টন।
নজরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ছায়েদুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৬ হাজার ২৫৭ টন মাছ রপ্তানি করেছে। এ থেকে আয় হয়েছে ৩৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সমুদ্র থেকে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪৬ টন মাছ ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরে ৮৩ হাজার ৫২৪ টন মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ৪ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post