পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ হাজার টাকার বাণিজ্য । গাংনী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ


গাংনী প্রিক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ গাংনী প্রিক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাথায় হাত।

পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। 

চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গাংনী প্রিক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা দাবী করা নিয়ে এখন গাংনীতে শুরু হয়েছে চরম ক্ষোভ ও সমালোচনা।

গত বৃহস্পতিবার গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের ৩৭ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষে স্কুলে ডেকে নিয়ে এই টাকা দাবী করেন প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন।

তবে জালাল উদ্দীন নিজে নয়, গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু এই টাকা দাবী করেছেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। হঠাৎ শিক্ষার্থীদের গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন। পরীক্ষার্থীরা স্কুলে হাজির হলে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন ও গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু প্রশ্ন পত্রের সব টিক উত্তর বসিয়ে ভাল রেজাল্ট করিয়ে দেওয়ার নাম করে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। এই টাকা না দিলে তাদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা ফেল করিয়ে দেবে বলে হুমকী দেন। পরে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানালে অভিভাবকরা ফুঁসে ওঠেন। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি’র কাছে যান। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তোলেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমি প্রচুর টাকা খরচ করে বেসরকারি স্কুলে পড়াচ্ছি। সেই স্কুলের রক্ষক যদি ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎটা কি হবে। তারা বলেন ৫ হাজার করে টাকা না দিলে আমার সন্তানকে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকী দিয়েছেন। আমরা বাধ্য হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি বলেছি। তারা এও বলেন, আমার সন্তানদের এই টাকা না দেওয়ায় ফেল করিয়ে দেবে কিনা শংকায় রয়েছি।

এব্যাপারে গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনিরুজজ্জামান মনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিভাবকরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের সন্তানদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবী করেছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ দেন। আমি এই ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করে জালাল উদ্দীনের বহিস্কার দাবি করবো।

এদিকে গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন বলেন, আমি ছেলে মেয়েদের শুধুমাত্র ডেকে স্কুলে নিয়ে এসেছিলাম। প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দাবী করেন। আমি সেখানে থাকলেও বিষয়টি আমার অগোচরে হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন বিষয়টি এই মাত্র জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


Post a Comment

Previous Post Next Post