গাংনীতে জমি জালিয়াতি চক্রের মুখোশ উন্মোচন : জমির মালিকের টিপ জাল করে জমির ভূঁয়া দলিল করে বিক্রি

 


গাংনীতে জমি জালিয়াতি চক্রের মুখোশ উন্মোচন : জমির মালিকের টিপ জাল করে জমির ভূঁয়া দলিল করে বিক্রি

 আমিরুল ইসলাম অল্ডাম   ঃ গাংনীতে জমি জালিয়াতি চক্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকের টিপসহি জাল করে ভূঁয়া দলিল সম্পাদন করে অন্যত্র  জমি বিক্রি করার গোপন ফাঁস হয়ে গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজীপুর গ্রামের মৃত  ছাত্তার আলীর ছেলে আত্তাব উদ্দীন ১২-১০-১৯৯৬ ইং তারিখে ক্রয়কৃত জমি যার তফশীল  ৮৩৪৫ নং দলিল মূলে আরএস দাগ নং-১৫৪০ থেকে ১৩ শতক, ১৫৪১ দাগে ২৩.৫০ শতক মোট ৩৬.৫০ শতক ( বিক্রেতা কেতাব আলী, তেরাইল)এবং তেরাইল মৌজায় ১৭০১ কবলামূলে ১৬৩৭ দাগে ৪ শতক এবং ১৬৪৪ দাগে ২২.৫০ শতক মোট ২৬.৫০ শতক   (যার আর এস খতিয়ান নং-৮৪২ নং তফশিল)ক্রয় করেন। তিনি আরও জানান, আমি জমি ক্রয় করার পর চাষাবাদ কওে ফসলাদি উৎপাদন করছেন।  হঠাৎ তিনি জানতে পারেন এলাকার একটি কুচক্রীমহল  দেবীপুর গ্রামের ১। মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মামুনর রশীদ ২। মৃত পিয়ার বকসের ছেলে ফজলুর রহমান ৩। মৃত রহমতুল্লাহর ইউসুফ আলী ৪। মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে ছাবদার আলী ৫। আয়নাল হকের ছেলে খবিরউদ্দীন এবং ৬। দলিল লেখক খড়মপুরের উমর আলী  জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রেতা সেজে দেবীপুরের মামুনর রশীদের নামে আমাকে (আত্তাবউদ্দীন) বিক্রেতা সাজায়ে গত ৪/০২/২০১০ ইং তারিখে ১২৬৫ নং জাল দলিল সৃষ্টি  করে  উক্ত তপশিল বর্ণিত জমি জবরদখল করে নিয়েছে। আমি  একজন গরীব মানুষ। এই জমি থেকেই আমার সংসার চলে। সম্পত্তি জবরদখল করায় আমার উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে আমি মোকাম গাংনী সহকারী জজ আদালতে দেং- ১২৬/২০১০ বিচারাধীন রয়েছে। মামলার সমুদয় কাগজ পত্র বা দলিল পত্রে থাকা আঙ্গুলের ছাপ ম্যাগনিফাইং গ্লাস, ব্রিজকাউন্টার , স্কেল ও কম্পিউটার স্ক্যানার, রাস্টার সফট ওয়ার , প্রিন্টার ইত্যাদি  প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সাহায্যে তুলনা মূলক পরীক্ষা করে সিআইডি এক্সপার্ট দেখেছেন যে, টি আই রেজিঃ ভলিয়ম নং ০৫/১০ তালিকা নং ১০৮৪২ এর পাতা নং ০৩৪৬৯৭৮ তে দলিল নং ১২৬৫ তাং-০৪-০২-১০ সংক্রান্ত ছাপ নং ১৮৮২ তে আফতাব নামের প্রদত্ত ‘ক’ চিহ্নিত আঙ্গুলের ছাপটি গত ২৮/১০/২০১৮ তারিখ হলুদ বর্ণো কার্টিজ কাগজে দেয়া আফতাব উদ্দীনের বাম  ও ডান হাতের বৃদ্ধা  আঙ্গুলের  ‘খ’ সিরিজ চিহ্নিত নমুনা ছাপপত্রে থাকা ছাপের সাথে কোন মিল নেই। টিপসহিতেই প্রমাণিত হয়েছে যে, মামুনর রশীদের দলিল জাল।

এব্যাপারে অভিযুক্ত মামুনর রশীদ মোবাইল ফোনে জানান, আমরা জমি ক্রয়ে জাল দলিল করি নাই। দলিল মোতাবেক আমি জমি দখল নিয়েছি।জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। আমার সমুদয় কাগজ পত্র রয়েছে। আমি একাধিকবার মামলায় জয়লাভ করেছি। আপনারা পত্রিকায় লিখলে লিখতে পারেন। 

 ভুক্তভোগী আত্তাব উদ্দীন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কাছে  সঠিক বিচাার চেয়ে আবেদন করেছেন।  


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম 

মেহেরপুর


Post a Comment

Previous Post Next Post