ভাগ্য খুলছে বাদাম চাষিদের

 


বাঘা (রাজশাহীপ্রতিনিধি

 রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের বালুতে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ শুরু হয়েছে পদ্মার চর এখন আর বালুকাময় নয়, পরিণত হয়েছে শস্যভূমিতে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দানাজাতীয় শস্য পদ্মার বিস্তৃত চরজুড়ে বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার সাত ইউনিয়ন দুটি পৌরসভা রয়েছে এর মধ্যে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের শুধু বালুচরে বাদাম চাষ হচ্ছে বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে প্রতি হেক্টরে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল .১৭ টনসরেজমিন পদ্মার চরের গোকুলপুর, পলাশী ফতেপুর, করারি নওশারা, কালীদাসখালী, চকরাজাপুর, দাদপুর টিকটিকিপাড়া এলাকায় অসংখ্য কৃষক বাদামের চাষ করেছেন  অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বহুগুনে ছাড়িয়ে যাবে

পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের বাদাম চাষি গোলাম মোস্তফা, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, কালিদাসখালি গ্রামের হাফিজুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন, জহুরুল মালিথা, আকছেন শিকদার প্রত্যেকেই বছর বাদাম চাষ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বিগত যে কোনো বছরের তুলনায় এবার পদ্মার চরে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। গত বছর বাজারে বাদামের দাম ভাল পাওয়ায় এবার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন

চকরাজাপুর ইউনিয়ন সদস্য ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। উপযুক্ত পরিচর্যা করায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এতে পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের।  অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি

বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান যুগান্তরকে জানান, বাদাম পরিচর্যায় খরচ সময় দুটোই কম লাগে। গত বছর বাদামের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আগাম বাদাম চাষ করেছেন

একই সঙ্গে ফলন ভালো হওয়ায় চীনা জাতের বাদামের পাশাপাশি অনেকে ত্রিদানা জাতের বাদামের আবাদও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে বাদামের বীজ বপন, পরিচর্যা কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয় 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post