বাণিজ্য মেলায় উপচেপড়া ভিড়

পূর্বাচল প্রতিনিধি   : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়

মূল্য ছাড়ের ঘোষণা অপ্রত্যাশিত মূল্য ছাড়ে মেলার শেষের দিকে এসে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যাও। এদিকে শুরু থেকে স্টল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে না পারায় লোকসান এড়াতে অতিরিক্ত আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা

নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে  মেলা। সেই হিসাবে ছুটির দিন ছিল মেলার শেষ শুক্রবার। তাই দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল বেশি। প্রবেশপথ পেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই নানা বয়সই হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভিড়ের কারণে অনেকটা ঠেলাঠেলি করে এগোতে হচ্ছিল মানুষকে। মাইকে ভেসে আসছে মেলা-সম্পর্কিত নানা তথ্য

আক্ষরিক অর্থেই শুক্রবার মেলায় ছিল শেষ মুহূর্তের কেনাবেচার আবহ। দেশি-বিদেশি হরেক পণ্যের মেলায় মানুষ এসেছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। অনেকে এসেছেন সপরিবারে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন পছন্দের পণ্যের স্টলে। স্টলে স্টলে দেখা গেল বিক্রেতা ক্রেতার মধ্যে দর-কষাকষী

কাশ্মীরি শালের স্টল থেকে তিনটি পশমি শাল কিনেছেন লাভলি। তিনি বললেন, অনেক দর-কষাকষি করে নিজের আত্মীয়ের জন্য এক হাজার ৮০০ টাকায় এগুলো কিনলাম

বাণিজ্য মেলায় এসেছেন জাহিদ, বাড়ির জন্য ফ্রাইপ্যান কিনবেন। তিনি জানান, আধুনিক সাশ্রয়ী মূল্যে জিনিস পাওয়া যায় বলে মেলায় আসার জন্য গাজীপুর এসে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন

মানুষের ভিড় ঠেলে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। দেখা গেল, গৃহস্থালি ব্যবহার্য জিনিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, গয়না, মেয়েদের জামা, জুতার স্টলে ভিড় সবচেয়ে বেশি। ভিড় আছে ইলেকট্রনিকস, শোপিস এবং খাবারের স্টলেও

কুটিরশিল্প স্টল থেকে ৫০০ টাকায় কলেজ ব্যাগ কিনেছেন প্রিমা তার বন্ধু দিবা। ওই স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি জানালেন, এখন শেষের সময়, তাই কম দামেই তারা পণ্য বিক্রি করছেন

মেলা শেষ উপলক্ষে এমন ছাড় চলছে আরও অনেক স্টলে। বিশেষ করে পাকিস্তানি পোশাকের স্টল, ইলেকট্রনিকস, আসবাবের স্টলে

হাতে হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন আনিসুর রহমান তার স্ত্রী নাদিরা। দুজনের এক হাতে ধরে বেশ কয়েকটি ব্যাগ। মেলা থেকে কেনা পণ্য আছে এসব ব্যাগে। জানালেন, শুক্রবার ছাড়া মেলায় আসা হয় না। গত শুক্রবারও এসেছিলেন, কিন্তু সেদিন এত ভিড় ছিল না। এখন ভিড় ঠেলে বের হতে পারলেই হয়

মেলা থেকে বের হওয়ার পথেও দীর্ঘ সারি। মেলা থেকে বের হওয়ার পর যাদের নিজস্ব বাহন নেই, তারা পড়েন কিছুটা বিড়ম্বনায়। কাছাকাছি বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকলেও চালকেরা ভাড়া হাঁকেন প্রায় দেড়-দুইগুণ। অনেকে বাধ্য হয়ে তাতেই আরোহী হন। আবার অনেকে হেঁটে যান সামনের দিকে। মূল সড়কে গিয়ে অটোরিকশা, বাস বা অন্য বাহন পাওয়ার আশায়

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলা শেষের দিকে জমজমাট হচ্ছে। বিক্রিও প্রায় প্রতিদিনই বাড়তে শুরু করেছে। এটা ঠিক স্টল মালিকরা অনেকেই নির্ধারিত সময়ের ভেতর চালু করতে পারেনি। তাদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানোনো হয়েছে। তবে বছর আর মেলা বাড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী ৩১ জানুয়ারি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে

 

Post a Comment

Previous Post Next Post