খুলনায় এক নারীর ফাঁদে পড়ে সর্বহারা একাধিক ব্যাক্তি


খুলনা ব্যুরো  ঃ খুলনায় মানজুম আক্তার (৪০) নামক এক নারীর ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারানোর অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগীরা জানান,মানজুমা সমাজের ধন্যাঢ্য ও বিত্তশালী ব্যাক্তিদেরকে লক্ষ্য করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।পরবর্তীতে কৌশলে বিয়ে করে দাবী করে লক্ষাধিক টাকা।এমনটি অভিযোগ করেন খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আকরামসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী।


মোঃ আকরাম জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে মানজুম আক্তার অনেক ব্যাক্তির অর্থ সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো জানান, একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা নিতে আসেন মানজুম আক্তার।তখন থেকে সখ্যতা তৈরী হয় আকরাম এর সাথে।পরবর্তীতে ঐ নারী নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরায় বিয়ে করতে রাজি হন তিনি। কিছুদিন পরেই তাদের ঘরে জন্ম নেয় ১টি কন্যা সন্তান।তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই ১০ লাখ টাকা দাবি করে মানজুমা। অন্যাথায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।আকরাম টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে ধর্ষণ মামলাসহ খুলনা নারী ও শিশু আদালতে মামলা দায়ের করেন মানজুমা।আদালত এই মামলার তদন্তভার দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পি বি আই) কে। পি বি আই আকরাম’কে নির্দোষ প্রমাণ করে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে।


রুপসা মাছ বাজারের সভাপতি রমজান আলী বলেন মানজুমার একাধিক বিবাহের মধ্যে খুলনা শ্মশানঘাট এলাকার সহিদুল ইসলামের নিকট থেকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে একই ফাঁদে পা দেন রমজান আলী নিজে।একইভাবে ভারতের আব্দুল্লাহ ,মোংলার আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রনি,স্লুইচ গেটের সুমন, রুপসার কামরুল ইসলামকে বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন কয়েক লক্ষ টাকা।


এ বিষয়ে মানজুমা আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন “ এসকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কারো নিকট থেকে ১০ টাকা নিয়েছি এমন কোনো প্রমাণ নেই।”

Post a Comment

Previous Post Next Post