শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কনফারেন্স রুমে এ আড্ডায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গুনী হতে কোন বয়স লাগে না। সমাজের জন্য কাজ করলেই কেবল গুনী হওয়া যায়। ‘যারা সমাজের জন্য, জাতির জন্য ও দেশের জন্য অবদান রাখেন, তাদের সম্মান করা, গুণিজনের সম্মান করাটাও আমি মনে করি আমাদের কর্তব্য।’ আজকের এই অনুষ্ঠানে অনেক গুনী ব্যাক্তিদের গল্প শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশটা আমার। আমি বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি। ‘আপনারা আজকে এখানে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত,
তাদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কারণ আপনারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাদের অবদান রয়েছে।’
জাগ্রত গ্রুপের চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম আরও বলেন, ‘এ দেশে চিন্তাবিদ, সাধক, দার্শনিকের জন্ম হয়েছে। গায়ক, কবিদের জন্ম হয়েছে; লোকসাহিত্যের জায়গা তৈরি হয়েছে। সৃজনশীল প্রতিভাব বিকাশে কাজ করছে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের কল্যাণে জাগ্রত ব্যবসায়ীসহ মানবিক কর্মকান্ড, রক্তদান কর্মসূচী, অনাহারীদের খাবার বিতরণ সহ অলাভজনক ৮ টি সেবার কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য দিয়ে কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আলোকিত দেশ গড়তে সবসময় আমরা এই জাগ্রত কাজ করে যাবে।
আড্ডায় অংশ নিয়ে জীবনের গল্প বলেন, রক্তযোদ্ধা সাদিক হাসান রহিদ, তিন প্রজন্মের নাট্যভিনেতা শাহীন সরকার, সফল ফ্রিল্যান্সার অনিক মাহমুদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সুজন রহমান, দেশসেরা সাঁতারু আমীরুল ইসলাম, পশুপাখি প্রেমী শাহাবুদ্দিন মিলন, ,জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নাদিরা খানম, জেলার শ্রেষ্ঠ জয়ীতা নারী উদ্যোক্তা ঝর্ণা বেগম, ক্যান্সার সোসাইটির ফরিদুল ইসলাম, গনহত্যা বিষয়ক গবেষক ইমাম মেহেদী ও সমাজকর্মী কারশেদ আলম প্রমুখ।