গ্যাসের পুনঃসংযোগ পাচ্ছেন না চট্টগ্রামের গ্রাহকরা

,চট্টগ্রাম অফিস গত দুই/তিন বছর যাবৎ অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে পুনঃসংযোগ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পুনঃসংযোগ দিতে হলে কোম্পানির বোর্ড সভার অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে কয়েকবার বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হলেও অনুমোদন মেলেনি। এসব গ্রাহকের মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের সংযোগ রয়েছে। পুনঃসংযোগ ছাড়াও প্রায় তিন শতাধিক শিল্পের নতুন সংযোগ আটকে রয়েছে।জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে(কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মাজেদ ইত্তেফাককে বলেন,এখন গ্যাসের-সংকট চলছে। গ্যাস-সংকটের পরিস্থিতি উন্নতি হলে পুনঃসংযোগ দেওয়া হবে। এসব সংযোগ বাদ দেওয়া যাবে না। কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি ছাড়াও দেশের অন্যান্য কোম্পানি গুলোতেও পুনঃসংযোগ ঝুলে আছে।’ চট্টগ্রামে ২০১০ সাল থেকে আবাসিক সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ২০১৩ সালে সংযোগ চালু হয়। পরে আবার আবাসিকে নতুন সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে শুধু শিল্পে নতুন সংযোগ প্রদান চালু করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে শিল্পে গ্যাস সংযোগ আবার চালু করা হয়। এই কমিটি চট্টগ্রামে অনেকগুলো শিল্পে নতুন সংযোগ ও লোড বাড়ানোর অনুমোদন দেয়। পরবর্তীকালে ২০১৮ সাল থেকে শিল্পে গ্যাস সংযোগ অনুমোদনের বিষয়টি কোম্পানির বোর্ড সভার ওপর বর্তায়।জানা গেছে, পুনঃসংযোগের যারা আবেদন করেছেন, আগে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দেখা গেছে, একজন গ্রাহক দুটি দ্বৈত চুলার জন্য সংযোগ নিয়ে চার/পাঁচটি দ্বৈত চুলায় গ্যাস ব্যবহার করেছেন। এমনকি দুইটি চুলার সংযোগ নিয়ে ১০/১৫টি দ্বৈত চুলায় গ্যাস ব্যবহার করেছেন। আবার কোনো গ্রাহক অনুমোদিত ভাবে গ্যাস ব্যবহার করেছেন। শিল্পে দেখা গেছে, অনুমোদন ৩৫০ কেজি একটি বয়লারের স্থলে অননুমোদিত বাণিজ্যিক খাতে অতিরিক্ত ১২ সিএফটি স্টার বার্নার দুইটি,২৫ সিএফটি হিটার দুইটি ও ২৫ সিএফটি স্টার বার্নার ১৪টিতে গ্যাস ব্যবহার করেছে। আবার কেউ সিলিন্ডার ভর্তি করে গ্যাস বিক্রি করতেন। কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিম বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। জানা গেছে, শিল্পে তিন শতাধিক নতুন সংযোগের আবেদন জমা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন পাওয়া সংযোগও এখনো পর্যন্ত চালু করা যায়নি। আবাসিকের প্রায় ২৫ হাজার আবেদনও ঝুলে রয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post