চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ, আতঙ্কে উপকূলবাসী

 


 বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :  

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০/২৫টি পয়েন্টে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, শিলকৃপ,খানখানাবাদ, সাধানপুর পুকুরিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেএলাকার ফসলি জমি মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ছনুয়া এলাকায় উপজেলা এলজিইডির নবনির্মিত কোটি ৯৩ লাখ টাকার মাওলানা আশরাফ আলী সড়ক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ছাড়াও ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা খানখানাবাদ এলাকায় উপজেলা এলজিইডি' কয়েকটি সড়ক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেউপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায, বাঁশখালীতে ১৪২ কিলোমিটার বেরিবাঁধ রয়েছে তার মধ্যে ৩৬ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ এছাড়া সাঙ্গুখালজলকদরখালছনুয়াখাল শেখেরখীলখালসহ ১০৬  কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে

ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের ছনুয়া এলাকায়। এখানকার প্রতিটি সড়ক ঘূর্ণিঝড় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।দ্রুত সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাইপানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে প্রাথমিক তথ্যমতে ছনুয়া ইউনিয়নে প্রায় কিমি. বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শেখেরখীল ইউনিয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় . কিমি বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেতাছাড়া গন্ডামারা ইউনিয়নে কিমি, সাধনপুর ইউনিয়নে . কিমি, চাম্বলে .৬৫ কিমি, সরল ইউনিয়নে .৫০ কিমি, খানখানাবাদ ইউনিয়নে কিমি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে    উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ছনুয়ায় নির্মিত কোটি ৯৩ লাখ টাকার আশরাফ আলী সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেএছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে এলজিইডির নির্মিত সড়ক ঘূর্ণিঝড় জোয়ারের পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে

 


Post a Comment

Previous Post Next Post