মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার ৫ ঘন্টা পর ঝুলন্ত স্বামীর মরদেহ উদ্ধার



মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রী সাবিনা খাতুনের হত্যার  ৫ ঘন্টা পর ঘাতক স্বামী বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।  বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা দেড় ঘটিকার সময় বাড়ির পার্শ্বে জনৈক আনসার আলীর বাঁশবাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে গাংনী থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়।  গাংনী থানারভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে আমিসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব্।ো

স্থানীয়রা জানান, গতরাতের কোন এক সময় বিদ্যুৎ তার পঞ্চম স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩২) কে মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে মাথা থেতলিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।সকাল সাড়ে ৯ টার সময় গাংনী থানা পুিলশের একটি দল নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুরের মর্গে পাঠান। ইতোমধ্যে গ্রামের লোকজন স্বামী বিদ্যুৎ হোসেনের সন্ধান করতে থাকে। হঠাৎ বাড়ির পার্শ্বে একটি বাঁশবাগানে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। 

স্থানীয়দের ধারণা,বিদ্যুৎ তার স্ত্রীকে হত্যার পর গ্রেফতারের ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন।উল্লেখ্য,বিদ্যুৎ হোসেন গত চার বছরে মোট ৫ টি বিয়ে করেন।  ৫ জনকে বিয়ে করলেও কোন স্ত্রী ১ মাসের বেশী স্থায়ী হয়নি।  সর্বশেষ ১ মাস আগে সাবিনা খ খাতুনকে বিয়ে  করেন।  গত ৩ দিন যাবত সে তার শ্বশুর বাড়ি কুমারীডাঙ্গা গ্রামে অবস্থান করছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে স্ত্রী সহ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে স্ত্রী সাবিনা খাতুন বাবার বাড়ি ফিরে যাবার জন্য তার পিতার কাছে ফোন করেন। বিকালের দিকে সাবিনা খাতুনের কথা মত তার ভাইবোন সহ পরিবারের লোকজন আসলে বিদ্যুৎ ও তার লোকজন অপমান করে তাদের তাড়িয়ে দেয়।  এ ঘটনার পর রাতেই সাবিনাকে নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করে।এলাকাবাসীর ধারণা, পর পর ৫ জন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায়  ক্ষোভে দুঃখে , অপমানে নিজেও পৃৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।

এঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন মেহেরপুরের এ এসপি সার্কেল অপু সরোয়ার , গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।


   ।         



Post a Comment

Previous Post Next Post