২২ বছর পরেও গাংনী পৌরসভার কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। খানা-খন্দকে ভরা প্রায় সকল রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। জনদুর্ভোগ চরমে

 


                                                              ছবি:  আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

স্টাফরিপোটার  ঃ পৌরসভা গঠনের ২২ বছর অতিবাহিত হলেও গাংনী পৌরসভার কাঙ্খিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বার বার জনগণের সেবা দানের প্রতিশ্রæতি দিয়ে  পৌর মেয়র  নির্বাচিত হলেও নাগরিক সেবার মান আজও বাড়েনি। প্রায় ২ যুগ ধরে উন্নয়নের কথা বলে জনগনের সাথে চালাকি করা হয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিমত। পৌর সভা এলাকার প্রায় সকল রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানা খন্দকে ভরা রাস্তায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে চৌগাছা বড় মসজিদ থেকে হাসপাতাল সড়কটি পানি কাঁদায় একাকার হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যায়। যানবাহন চলাতো দুলেরর কথা। পায়ে হেঁটেও সাধারন পথচারীরা যেতে পারে না। উক্ত রাস্তার পাশ্বে কয়েকটি  স্কুল,কলেজ ও কেজিস্কুল থাকায়  প্রতিদিন  কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়।  এছাড়াও এই সড়কটি এনজিও সড়ক নামে পরিচিত। এখানে প্রতিনিয়ত কয়েকশত নারী পুরুষ  এনজিও  অফিসে আসা যাওয়া করে থাকেন।  প্রতিদিনই পথচারীদের  পৌর সভা সম্পর্কে নেতিবাচক কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।এমনিভাবে চৌগাছা কাজিমমোড় থেকে হলপাড়া রাস্তা,গাংনী থানা সড়কে একহাটু পানি জমে থাকায় পথচারীদের দুর্ভোগ,  পশ্চিম মালসাদহ, গাংনী মহিলা কলেজ ,পৌর সভা ও সন্ধানী স্বুল এন্ড কলেজ সড়ক,শিশিরপাড়া, বাঁশবাড়ীয়া গ্রাম সহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাকা রাস্তা ও হেরিং বন্ড রাস্তাগুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 

 

                                                      ছবি:  আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

স্থানীয়রা পথচারীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে নিজেদের অর্থায়নে জায়গা বিশেষ ২/১ ট্রলি মাটি বা ইটের  রাবিশ  দিয়ে কোনরকম  কষ্ট লাঘব করা হয়েছে। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান,  রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বয়ং মেয়র মহোদয়কে একাধিকবার জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। পৌরসভার বেশীরভাগ রাস্তায় পানি কাঁদা জমে থাকায় জন দুর্ভোগ বাড়লেও পৌর কর্তৃপক্ষের সেদিকে নজর ন্য়ে। পৌর সভায় নাগরিক সেবা কাগজে কলমে হলেও আসলে দৃশ্যত উন্নয়ন হয়নি বললে ভুল বলা হবে না। জন গুরুত্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ লাইন তৈরীতে ব্যস্ত। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে পৌর সভার পাড়া মহল্লা সহ সকল রাস্তা খোড়াখুড়ি করে  বেহাল দশায় পরিণত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। অথচ রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কার কাজে কোন দৃশ্যমান প্রকল্প চোখে পড়েনি।স্থানীয়রা আরও জানান, আমরা শুনেছি গাংনী পৌরসভা গ’ শ্রেণিভুক্ত থেকে ইতোমধ্যেই খ’ শ্রেনিভুক্ত হয়েছে। আসলে কোন অর্জন বা উন্নয়নের সূচক ধরে  গাংনী পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।  


                                                            ছবি:  আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

উন্নয়ন বলতে পৌরসভা এলাকায় সড়ক বাতি , কোন কোন এলাকায় ডাষ্টবিন সরবরাহ করা। এছাড়া কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ড্রেন খনন ও নির্মাণের নামে রাস্তা খোঁড়াখুড়ির  মহোৎসব চলছে। 

এব্যাপারে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী জানান, গাংনী পৌরসভা গঠনের পর পূর্ববর্তী মেয়র উন্নয়নের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা   তছরুপাত  করেছে। আমি আসার পর পৌরসভার কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। সকল কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে মাস্টার প্লানসহ নানা পরিকল্পনা করা হয়েছ্।ে অল্প সময়ের মধ্যে গাংনী পৌরসভাকে আধুনিক মানের পৌরসভা গঠন করা হবে। পৌরসভা উন্নয়নে নানা প্রস্তাব নিয়ে পরিকল্পনা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। রাস্তা ঘাট পর্যায়ক্রমে নির্মাণ বা সংস্কার  করা হবে। 



  ছবি:  আমিরুল ইসলাম অল্ডাম


Post a Comment

Previous Post Next Post