গাংনীর বেতবাড়ীয়া গ্রামে নি¤œমানের ইটের রাবিশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ । দেখার কেউ নেই

 


         ছবিঃআমিরুল ইসলাম অল্ডাম


                                                            ছবিঃআমিরুল ইসলাম অল্ডাম

 

গাংনীর বেতবাড়ীয়া গ্রামে নি¤œমানের ইটের রাবিশ দিয়ে রাস্তা  নির্মাণ । দেখার কেউ নেই

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মেহেরপুরের গাংনীর বেতবাড়ীয়া গ্রামে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটার সবচেয়ে নি¤œমানের পচা, আমা ধরণের নরম ইটের খোয়া । যেটাকে ভাটার উচ্ছিষ্ট ইট বলে ধরা হয়। সরেজমিনে  ঘুরে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউপির অন্তর্গত বেতবাড়ীয়া  গ্রামের পশ্চিমপাড়ার রব্বেল  বাড়ীর মোড় থেকে গামের উত্তরপার্শ্বে মধুগাড়ীর ঘাট পর্যন্ত প্রায ২ কিলোমিটার মাঠের রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কুষ্টিয়ার ঠিকাদার  কাজ পেলেও গাংনীর মটমুড়া গ্রামের ঠিকাদার ও জেলা পরিষদের সদস্য তোফাজ্জেল হোসেন লেছে কাজটি বাস্তবায়ন করছে বলে জানা গেছে। রাস্তার কাজের মান খুবই নি¤œমানের হচ্ছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা নির্মাণে ইটভাটার সবচেয়ে নি¤œমানের ইটের রাবিশ (ডাষ্ট) রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় কোন প্রকার বালি না দিয়ে স্থানীয়ভাবে রাতের আধারে মাটি তুলে রাস্তায়  ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তার দু’পাশে কোথাও ইট ভাঙ্গার চিহ্ন দেখা যায়নি। মাটি দিয়ে কম্প্যাক্ট করে তার উপর ইটের রাবিশ খোয়া সরাসরি রাস্তায় ঢেলে দিয়ে রোলার দিয়ে  দায়সারাভাবে লেভেল করা হয়েছে।রাস্তার দুই পার্শ্বের রেজিং গুলো একেবারেই তিন নং ইট দিয়ে নির্মিত। রাস্তায় ব্যবহৃত ইটের খোয়া হাতুড়ি না হাত দিয়েই ভাঙ্গা যাচ্ছে। 




এ ব্যাপারে বেতবাড়ীয়া গ্রামবাসী জানান, আমরা জীবনে অনেক রাস্তা নির্মাণ করতে দেখেছি কিন্তু এত নি¤œমানের রাস্তা করতে দেখি নাই। ঠিকাদার ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে কারও তোয়াক্কা না করে নিম্মমানের  রাস্তা করে যাচ্ছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। একইসাথে  নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে কয়েকজন  জানান, গ্রামের কিছু অসাধু নেতারা ঠিকাদারের সাথে চুক্তি করে চাঁদা নিয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এমনও জানা গেছে, গ্রামের সরকার দলীয় কয়েকজন নেতা তাদের মনোনীত কয়েকটা ছেলেকে টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারকে সহযোগিতা  করতে যাচ্ছে।  ইতোমধ্যেই এসব মাস্তানদের মধ্যে আধিপত্য  বিস্তার নিয়ে হাতাহাতি ও মারপিটের মত ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। গ্রামের সচেতন মহলের দাবী আমরা এখানে নি¤œমানের কাজ করতে দেবোনা। প্রয়োজনে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হবো। এখানে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ও প্রকৌশলী এসে দেখে যাক। তারপর কাজ করতে দেবো। দেশটা টি মগের মুল্লুক হয়ে গেল নাকি !  এনিয়ে ঠিকাদারকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ পওয়া গেছে।  

সরেজমিনে ঘুরে কাজের মান একবারে  খারাপ হওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সল

হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিম্মমানের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। আমি আজকেই রাস্তা দেখতে লোক পাঠাচ্ছি। প্রয়োজনে আমি সরাসরি রাস্তা দেখতে যাবো।  



আমিরুল ইসলাম অল্ডাম


Post a Comment

Previous Post Next Post