গাংনীতে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক কলহের জেরে সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয়পক্ষের গুরুতর জখম ৮।



স্টাফরিপোটার : : গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের ভোলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার বিকেলে (সাড়ে ৩ টার দিকে)জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের পূর্ব শত্রæতায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভোলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে  ইসমাইল হোসেন ও  আক্তার হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে ইসমাইলের ছেলে সুজন, তারিক ও ইসমাইলের জামাতা রুকু লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্তার হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে আক্তার হোসেন (৪০),আক্তারের স্ত্রী রুপালী খাতুন (৩৫), স্কুল পড়–য়া ছেলে(এসএসসি পরীক্ষার্থী) মারুফ(১৬), রবিউল হকের স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন (৪৮), ও তার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মোমিনকে (১৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।এসময়  আত্মরক্ষার্থে আক্তার হোসেন ও তার ছেলে  ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলেদের উপর  চড়াও হয়। এতে  সুজন ও তারিক   সামান্য  আহত হয়।   

প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে  প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) ভর্তি করে।  ইসমাইল হোসেনের লোকজন তাদের ধারালো অস্ত্র  দা ও হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি  কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।আহতের  প্রথমতঃ গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.আদিলা আযহার আরশি রোগীদের  অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আক্তার হোসেন,  তার স্ত্রী রুপালী খাতুন , মারুফ হোসাইন,মুর্শিদা খাতুন ও তার ছেলে আল মোমিন কে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।  

ঘটনার বিবরণে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভোলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন ও ইসমাইলের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মাঝে মধ্যেই উভয় পক্ষ ঝগড়া বিবাধে জড়িয়ে পড়তো এমনকি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতেন।  এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

 এব্যাপারে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ জানায়নি। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।        


  



Post a Comment

Previous Post Next Post