মুজিবনগর থেকে মোঃ জাহিদ হাসান
মেহেরপুরের মুজিবনগরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষই পৃথক পৃথক ভাবে মুজিবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন এর ৬ নম্বর ওয়ার্ড রতনপুর গ্রামের খেলার মাঠের পাশে ডোবার মাঠ নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রতনপুর গ্রামের রাখাল মণ্ডলের ছেলে স্বাধীন মন্ডল (৫১) ও শান্তি মন্ডল (৪৫),মৃত ভজন মণ্ডলের ছেলে পূণ্য মন্ডল (৬৫), সুশীল মণ্ডলের ছেলে সুজিত মন্ডল (৭০), কাটু মন্ডলের ছেলে কটা মন্ডল (৬০) ও দিপু মন্ডল (৭০) আহত হয়। এক পক্ষ অমৃত অরবিন্দ মন্ডল এর ছেলে শান্তি মন্ডল তার অভিযোগে বলেছেন, রতনপুর মৌজার -১২০৮ দাগে, ৭১ শতক জমি আছে। এই জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন আদালতে মামলা চলার পরে আনুমানিক ৪ বৎসর আগে জমি আমাদের পাওনা হলে মেহেরপুর জজ কোর্ট থেকে আমাদের আবাদী জমি ঢাক ঢোল বাজিয়ে আমাদের পাওনা করে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু উক্ত বিবাদী মিঃ পুন্য মন্ডল, মিঃ সুজিত, মিঃ কটা, মিঃ দিপু মন্ডল, মিঃ সুজন মন্ডল শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে অবৈধ ভাবে কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন ধরনের লাঠিসোটা সহ দেশীয় অস্ত্র দা হাসুয়া নিয়ে আমাদের জমি জোর পূর্বক ভাবে দখল করতে যায়। এ সময় আমারা উক্ত জমির পার্শ্বে আমাদের আবাদী জমিতে কাজ করছিলাম। আমার আবাদী জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল করতে নিষেধ করতে গেলে আমাকে সহ আমার বড় ভাই মিঃ স্বাধীন মণ্ডলকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ও গালাগালি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের কাছে থাকা লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র দা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে বিভন্ন স্থানে এলোপাতারি ভাবে কোপ ও ছেচা মার দিয়ে জখম করে। পরে আমি সহ আমার ভাই প্রাণ ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় কোন রকমে জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে আসি। পরে আমার পরিবারের লোকজন মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাদের ভর্তি করায়। এখনও উক্ত বিবাদীরা আমাকে সহ আমার বড় ভাইকে মেরে ফেলে আমাদের লাশ গুম করে দিবে বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করছে। অপরপক্ষ সুজন মন্ডল তার অভিযোগে বলেছেন, বিবাদী শান্তি মন্ডল ও স্বাধীন মন্ডল আমার চাচা সম্পর্কের হয়। আমরা আমাদের আবাদী জমি আনুমানিক ৩২ বছর যাবৎ চাষাবাদ করে আসছি।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় আমার পিতা ও চাচারা আমাদের আবাদী জমিতে ধান লাগানোর উদ্দ্যেশে আমার চার চাচা জমি বন্টন করতে গেলে উক্ত বিবাদীরা আমাদের জমি আমাদের বন্টন করতে নিষেধ করে। আমাকে সহ আমার পিতা ও চাচাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি গালাগালি করতে থাকে। এসময় তাদের কাছে থাকা হাসুয়া দিয়ে আমার পিতা ও চাচাদের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি ভাবে কোপ মেরে জখম করে। পরে আমি সহ আমাকে গ্রামের কিছু মানুষ খোজ পেয়ে আমার পিতা ও চাচাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করি। এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি রাসেল মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুজিবনগর থেকে
মোঃ জাহিদ হাসান
Tags:
মেহেরপুর