মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার রাস্তাগুলো পানি কাঁদায় একাকার । যানবাহন ও পথচারী চলাচলে অচলাবস্থা। জন দূর্ভোগ চরমে






মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার রাস্তাগুলো যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ফলে পৌরবাসী বিশেষ করে যানবাহন ও পথচারীসহ স্কুল গামী শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে। পৌরসভার কার্যালয় মুখী রাস্তা, মহিলা কলেজ ও সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের মত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে এসব  সেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমবেশী ৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক শিক্ষকমন্ডলী উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। অথচ  পানি লাইন , বিদ্যুৎ লাইন,টেলিফোন লাইন, ইত্যাদি লাইন করতে বছরের প্রায় বেশীরভাগ সময় খোড়াখুড়ির কারনে খানা খন্দকে পরিণত হয়। রাস্তাগুলি সংস্কার বা মেরামতের তেমন কোন উদ্যোগ পৌর কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। ফলে সাধারন পথচারী ও যানবাহন চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি  হলেই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাজীমমোড় সড়ক (সিনেমা হল সড়ক), চৌগাছা বড় মসজিদের নিকট থেকে হাসপাতাল মুখি রাস্তা, গাংনী থানা মুখি রাস্তা (এম এ  খালেক সাহেবের বাড়ী ও গাংনী মাদ্রাসার সামনের সড়ক পানি কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। উক্ত রাস্তা দিয়ে লাইসিয়াম, বিআর লাইসিয়াম, আঃ সালাম মেমোরিয়াল স্কুল সহ একাধিক এনজিও প্রতিষ্ঠান এর লোকজন ও শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে থাকে।বৃষ্টি হলেই উক্ত রাস্তায় হাটু পানি জমে যায়। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ছাত্রীরা এবং পথচারী মহিলারা বেশী বিপদে পড়ে থাকে।  বিশেষ করে চৌগাছা থেকে হাসপাতাল মুখী রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই একহাটু পানি দীর্ঘদিন যাবত এসব রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হলেও পৌরকর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাগুলি মেরামত না করায় পৌরবাসী তাদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

রাস্তা সংস্কার বা মেরামতের ব্যাপারে পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী জানান,  আমাদের আরও কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। পানির লাইন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। একটি বছর আরও আমাদে কষ্ট করতে হবে। আর পৌরসভা ও সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ মুখি রাস্তাটি মেরামতের জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। আর কিছু কিছু কাজ আমরা টেন্ডার দিয়েও ঠিকাদাররা শুরু করতে চাচ্ছে না। কারন সবকিছু মালামালের দাম বেড়ে গেছে। ঠিকাদাররা কাজ না করে অপেক্ষা করছেন। আর চৌগাছা থেকে হাসপাতাল মুখি রাস্তাটি মেরামতে বিলম্ব হবে। এটা এখনও টেন্ডার হয়নি।  




Post a Comment

Previous Post Next Post