মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশী জমিতে জোরপূর্বক পাকা দালান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত কর্তৃক বিবাদী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারা জারী করলেও পুলিশের নিষেধ তোয়াক্কা না করে গোপনে অন্যের জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করছে।বাদী ফরিদা ইয়াসমিন সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন বিচার পাইনি।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, মটমুড়া গ্রামের মৃত জায়েদ আলীর ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে সন্তান । বাবা মায়ের শরীকানা সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ভাই বোনের মধ্যে মতানৈক্য হয়। একপর্যায়ে মৃত জায়েদ আলীর স্ত্রী তার ছোট মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিনকে মটমুড়া মৌজার ১৫৯১ খতিয়ানের ৪৪৬১ দাগ নংএর ৫৪ শতাংশ জমির মধ্যে পৌণে দুই শতাংশ জমি বাদ দিয়ে সবটুকু জমি রেজিস্ট্রী করে দেয়। এনিয়ে ভাই আশরাফুল ইসলামের সাথে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়ে ছোট বোন ফরিদা ইয়াসমিন। উক্ত দাগে পৌণে ২ শতাংশ জমি থাকলেও তিনি সবটুকু জমি জবরদখল করে পাকা দালান নির্মাণ করছে।এনিয়ে ফরিদা ইয়াসমিন আদালতে ভাই আশরাফুল ইসলামকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৯৩/২১, তাং-১২/০১/২২ ইং। মামলা প্রসেস নং-৫৩২২।
এ ব্যাপারে ফরিদা ইয়াসমিনের ভাই মটমুড়া গ্রামের একতা ইটভাটা মালিক খবিরউদ্দীনের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, আমার ভাই আশরাফুলের উপর মা অসন্তুষ্ট হয়ে ছোট মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিনকে ৪৪৬১ দাগে ৫৪ শতক জমির মধ্যে মাত্র পৌনে দু’শতক জমি বাদ দিয়ে সব টুকু রেজিষ্ট্রি করে দেয়। অথচ আশরাফুল জোরপূর্বক সরকারী আইন অমান্য করে জোরপূর্বক পাকা ঘর নির্মাণ করছে। উক্ত নালিশি জমি নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, গাংনী থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় সালিশ মিমাংসা করলেও আশরাফুল সব কিছু অমান্য করে গায়ের জোরে পাকাঘর নির্মাণ করছে। তিনি আরও জানান,পুলিশ আমাদের সাথে লুকুচুরি খেলছে। পুলিশকে ম্যানেজ করেই সে দালান নির্মাণ করছে।
এনিয়ে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম জানান,আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর করা ঠিক হবে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের আইনে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেন। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।