কুয়েটের প্রফেসর এর বিরুদ্ধে অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।

খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।
খুলনা ব্যুরো  অফিস  :   খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মেকানিক্যাল বিভাগের প্রফেসর জনাব গোলাম কাদের (০১৭১৩-৫১২২১০) ও জনাব মোঃ আলাউদ্দিন অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনিক্যাল অফিসার (০১৬১৯৯২০৩৩১) ইজি আইটি এজেন্ট নামে নতুন একটি কোম্পানি কোম্পানির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।
১৮ ডিসেম্বও শনিবার সকাল ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগির ৮ জনের একটি দলের নেতৃত্ব দেন খুলনা খানজাহান আলী থানা সেনপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে আইডি এজেন্ট নামে এক অনলাইন কম্পানি তে আমরা প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি যোগ দেই বিশেষ করে প্রফেসর গোলাম কাদের স্যার এর উপর বিশ্বস্ত হয় অত্র বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাইরের অনেকেই অনলাইন ভিত্তিক তথা ইজিআইটি এজেন্ট কোম্পানির সাথে সদস্য হই। প্রথমে আইডি খোলার সময় সবাইকে তিনি বলেছেন ইজি আইটি কোম্পানি ঢাকা অফিস এবং ম্যানেজমেন্টের সবার সাথে তার পূর্বপরিচিত। আমরা আইডি খোলার পূর্বে উনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন দেড় বছরের মধ্যে এই কোম্পানি বন্ধ হবেনা । তিনি প্রতি আইডি খোলার জন্য আমাদের নিকট থেকে ১২০০ টাকা গ্রহণ করেন তিনি
৪/০২/২১ তারিখে খুলনা-সাতক্ষীরা বাগেরহাটের ইজি আইটির স্টার ভক্তদের নিয়ে খুলনাতে মিটিং করেন কিছুদিন পরে নিজস্ব তত্ত¡াবধানে ২৮/০২/২১ তারিখে সেন্টমারটিন ট্যুর এর ব্যবস্থা করেন এতে করে তিনি বিশ্বস্থতা অর্জন করেন । যার দরুন সবাই এখনো কার্যক্রমে বিশ্বস্ত হয়ে অনেকেই আইডি খুলতে থাকেন যেহেতু তিনি নিজেই কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত আছেন কুয়েটের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেজন্য সবাই উনার প্রতি বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধা রেখেই নিজে আইডি খোলেন এবং প্রতিবেশী ,পরিবারের সদস্য ,অন্যান্যদেরও আইডি খোলা হয়। আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় লোভ দেখিয়ে নগদ হালাল ব্যবসার প্রতিশ্রæতি দিয়ে সপ্তাহের মতো নগদ লেনদেন করেন । কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে নগদ লেনদেন বন্ধ করে দেন। এরপর টাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ৫০ দিনের পর টাকা তোলা যাবে কিন্তু ৫০ দিনের অধিক সময় পার হলেও কোন টাকা পাওয়া যায়নি। পরে ওনার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এড়িয়ে যান এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের ও শিক্ষক সমিতির নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় ।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির এ বিষয়ে অবহিত করা হলে সেখানে কোনো সমাধান পাইনি উল্টো প্রফেসর জনাব গোলাম কাদের লিখিত অভিযোগের কারণে বিভিন্নভাবে অ্যাকশন নেবে বলে হুমকি দেন। এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানা ও এক একটি অভিযোগ করেও কোন সমাধান মেলেনি। এই অনলাইন কোম্পানিতে মোঃ আব্দুর রহমান ,মোহাম্মদ ডালিম,মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ আল-আমিন ,মো: মনিরুল ইসলাম, মোঃ মোতালেব হোসেন, মোঃ রুবেল সেখ, সেখ ওমর ফারুক, মোঃ মেহেদী হাসান ,মোঃ শরিফুল ইসলাম, এর মোট ১২২২ টি আইডিতে প্রতি আইডি ১২০০ টাকা হিসেবে ১২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা জমা দেয়া হয়। এছাড়াও কুয়েটে চাকরিরত অনেকেই আছেন যারা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরতের আশায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post