স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভার মালেকের ১৫ বছরের সাজা

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভার মালেকের ১৫ বছরের সাজা

স্টাফ রিপোর্টার :  স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলার দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। তবে তিনি একই সঙ্গে এই সাজা ভোগ করবেন বলে রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন আদালত, ফলে মোট ১৫ বছরের কারাভোগ করতে হবে তাকে।
গতকাল সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে আব্দুল মালেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মালেকের স্বজনরা। সাজা শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

এদিকে মামলার রায়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। র‌্যাব আমার বাসা থেকে কোনো কিছুই পায়নি। আমি ন্যায়বিচার পাইনি, আমি মিথ্যা মামলায় জেল খাটব। কোনো অস্ত্র পায়নি আমার বাসা থেকে।’

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য গতকাল দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ড্রাইভার মালেককে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। পরে গেল ১১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচারের জন্য আদেশ দেন। করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে গেলে ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় শেষ করেন। মামলাটির ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এর আদালতে পরবর্তী বিচার কাজের জন্য বদলির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত।

র‌্যাবের ভাষ্য, তিনি পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহণ পুলের একজন ড্রাইভার এবং তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহণ পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।

 

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post