মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি এ পর্যন্ত ধান ক্রয় করতে পারেনি।

ধান ক্রয়

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা খাদ্যশষ্য সংরক্ষণ ও মনিটরিং কমিটি লটারীর মাধ্যমে খাদ্য গুদামে বিগত ৩ মাসেও ১ ছটাক ধানও ক্রয় করতে পারেনি। বিগত নভেম্বর‘২১ মাসের ২৬ তারিখে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা খাদ্যশষ্য সংগ্রহ কমিটির সদস্যদের নিয়ে চলতি মৌসুমে আমন ধান সংগ্রহ বিষয়ক বিশেস্নষন করা ও প্রকৃত ধান চাষীদের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের লড়্গ্যে সভা করা হলেও অদ্যাবধি ১ ছটাক ধানও ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।সরকারী মূল্যেও চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশী হওয়ায় ধান চাষী ও ব্যবসায়ীরা খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করেনি। খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধানের মন প্রতি সরকারী মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪০ টাকা। অপরদিকে খোলা বাজারে ধান বিক্রয় করা হচ্ছে ১১ শ’ টাকা থেকে সাড়ে ১১ শ’ টাকা করে। সে কারনে গোডাউনে কেউ ধান দেয়নি।
উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কড়্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপসি’ত ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপসি’ত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ( অ. দা,)আয়েশা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসের প্রতিনিধি উপজেলা কৃষি সম্প্রস্‌ারণ কর্মকর্তা মাসুদ রানা,উপ সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন,উপজেলা জনস্বাস’্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, চাল মিল মালিক আব্বাস আলী,উপজেলা ওসিএলএসডি মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গাংনী উপজেলায় লটারীর মাধ্যমে ১ হাজার ১০৬ জন ধান চাষীর নিকট থেকে (এক টন হিসাবে) ১ম পর্যায়ে ৭৩৫ মে.টন ধান ক্রয় করা হবে। সে ড়্গেত্রে লটারীকৃত ১ হাজার ১০৬ জন চাষী তাদের উৎপাদিত ধান সরকারী মূল্যে গুদামে দিতে পারবেন। কাথুলী ইউপি থেকে ৬১ মে.টন (চাষীর সংখ্যা-১১০৩ জন), তেঁতুলবাড়ীয়া থেকে ৫৯ মে.টন (চাষীর সংখ্যা-৭০৮ জন),কাজীপুর থেকে ৫০ মে.টন (৭২৮ জন), বামন্দী থেকে ৫৮ মে.টন (৯৯৯ জন), মটমুড়া থেকে ৬১ মে.টন (৯১৭ জন),ষোলটাকা থেকে ৪৬ মে.টন (১০২০ জন), সাহারবাটি থেকে ৬১ মে.টন (৬৮৮ জন), ধানখোলা থেকে ৭৯ মে.টন (১২৭৯ জন), রাইপুর থেকে ৫৭ মে.টন (১২৫১ জন) এবং গাংনী পৌরসভা থেকে ৩৪ মে.টন (১১৪১ জন) ধান ক্রয় করার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। এড়্গেত্রে উপজেলার ৯ টি ইউপি ও পৌরসভা খেকে উলেস্নখিত সংখ্যক চাষীরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রয় করতে পারবেন।গত ডিসেম্বর’২০ মাসের শুরু থেকে ফেব্রম্নয়ারি’২১ মাসের শেষ তারিখ পর্যনত্ম স্বচ্ছভাবে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধানত্ম গৃহিত হলেও ২ মাসেও ১ ছটাক ধান খাদ্য গুদামে ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।
খাদ্য বিশেস্নষকরা মনে করছেন, ধান ক্রয় না হওয়ায় সরকারীভাবে চালের সঙ্কট সৃষ্টি হবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post