ঘরের কাছেই সঠিক সেবা, এই প্রত্যয় নিয়ে ফেরা-মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের নিচ তলায় ডাঃ আব্দুল্লাহ’স চেম্বার’র উদ্বোধন

 

dr abdulla

ছবি :শরিফ মাহমুদ কুষ্টিয়া

: ডাঃ আব্দুল্লাহ’স চেম্বার’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থি’ত  প্রধান অতিথি ডাঃ এ.এফ.এম আমিনুল হক রতন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ:   ঘরের কাছেই সঠিক সেবা, এই প্রত্যয় নিয়ে এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার লাহিনী বাস ষ্ট্যান্ডের সন্নিকটে অত্যনত্ম নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে ফেরা-মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের নিচ তলায় গত শুক্রবার ডাঃ আব্দুলস্নাহ’স চেম্বার আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরম্ন করেছেন।
ফেরা-মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো.ইকবাল হোসাইনের সার্বিক তত্বাবধানে ডাঃ আব্দুল্লাহ’স চেম্বার এর শুভ উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কুষ্টিয়ার সেক্রেটারী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ)কুষ্টিয়ার সভাপতি, বিশিস্ট চিকিৎসক ডাঃ এ.এফ.এম আমিনুল হক রতন।
উক্ত মহতী অনুষ্ঠানে গুণীজনদের উপসি’তিতে ফেরা-পরিবার অনুপ্রানিত এবং আগামীতে এই এলাকার মানুষের সেবার মান নিশ্চিত করে ডাঃ আব্দুলস্নাহ’স চেম্বার নিরলস ভাবে কাজ করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফেরা-মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো.ইকবাল হোসাইন।
ডাঃ আব্দুল্লাহ’স চেম্বারে প্রতিদিন বিকাল ০৪টা -রাত ০৮টা পর্যনত্ম রোগীদের সেবা দিবেন, ডাঃ আব্দুলস্নাহ-আল-মামুন(তুষার),এমবিবিএস(ঢাকা),ডিপেস্নামা ইন রেসপিরেটরি মেডিসিন (ইউ.কে), পিজিটি: মেডিসিন ও আলট্রাসনোগ্রাফী. ট্রেইন্ড ইন : কার্ডিওলজি, মানসিক রোগ, অ্যালার্জি, বাত-ব্যথা, চর্ম ও যৌন. স্কলার : এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (ইউ.কে)।
প্র্রসঙ্গত: ফেরা-মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো.ইকবাল হোসাইন একজন উচ্চ শিড়্গিত মেধাবী, কর্মঠো যুবক। তার সঠিক দিক নির্দেশনায় সাঁজানো-গোছানো নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা ফেরা-মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রটি নিয়মনীতি মেনেই অত্যন্তসুনামের সাথে এগিয়ে চলেছে।

 

kuddus, kushtia

: কুদ্দুস : ছবি:শরিফ মাহমুদ কুষ্টিয়া

আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের দৈত্যের গল্পকেও যেন হার মানায়

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাব রক্ষণ কুদ্দুস মালি থেকে কোটি কোটি টাকা ও অঢেল সম্পদের মালিক

 

কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ:  আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের দৈত্যের গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে এক সামান্য মালি। জিরো থেকে হিরো হবার এই অদম্য কাজটি করেছেন কুষ্টিয়ার বহুল আলোচিত সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস। তিনি দুর্নীতি করে মালি থেকে এখন গাড়ি বাড়িসহ কোটি কোটি টাকা ও অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার আব্দুল কুদ্দুসসহ কুষ্টিয়ায় ৫জনের নামে দুনীতি দমন কমিশন পৃথক ৩টি মামলা করেছেন। যার মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্ম্পত্তি অর্জনের জন্য আব্দুল কুদ্দুস ও তার স্ত্রীর নামে ২টি এবং মৃত ব্যাক্তিকে জীবিত দেখিয়ে সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় অপরাধে মামলা হয়েছে ১টি। কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সাবেক সাবরেজিষ্ট্রার ও বর্তমানে ১১/৩ দাদাপুর রোড, থানাপাড়ায় বসবাসরত শরিয়ত হোসেন, দলিল লেখক বাহা উদ্দিন, বাছি খাতুন ও লোকমান হোসেনের নামে জমি জালিয়াতি করে ক্রয় বিক্রয়ের মামলাটি করেছেন, কুষ্টিয়া দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন। মামলা নং-২, তাং-১৯.১১.২০২০খ্রিঃ। দন্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫/২ ধারা।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস ও তার স্ত্রী আছিয়া খাতুনের বিরম্নদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতি পূর্ণ সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অপরাধে মামলা করেছে দুদক। কুষ্টিয়া দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাছরম্নলস্নাহ হোসাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। আব্দুল কুদ্দুসের নামে মামলা নং-৪ ও তার স্ত্রীর নামে মামলা নং-৩ তাং-১৯.১১.২০২০খ্রিঃ। ধারা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭ (১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব রক্ষক আবদুল কুদ্দুসের চাকরি জীবনের শুরুটা মালি হিসেবে। ১৯৮০ সালে কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড়ের সিভিল সার্জন পরিচালিত ম্যালেরিয়া স্বাস’্য কেন্দ্রে প্রথম যোগদান। ডিউটি স্বাস’্য কেন্দ্রের বাগান ও গাছ পরিচর্যা। কয়েক বছরের মধ্যেই অফিস সহকারী হিসেবে পদোন্নতি। যোগদান করেন কুষ্টিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউটে। ১৯৯০ সালের দিকে আরেক দফা পদোন্নতি পেয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক হন আবদুল
কুদ্দুস। এর পরের গল্পটা আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের দৈত্যের গল্পকেও যেন হার মানায়। মালী থেকে হিসাবরক্ষক আবদুল কুদ্দুস কয়েক বছরের ব্যবধানে বনেগেছেন অঢেল বিত্তবৈভবের মালিক। কুষ্টিয়া শহরে তার রয়েছে দুটি বহুতল ভবন ও একটি একতলা ভবন। শহরের অভিজাত এলাকায় আছে ফ্ল্যাট। মার্কেটে আছে একাধিক দোকান ও ফ্লোর। ঢাকায় রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট। স্ত্রী-সনত্মান থাকেন ঢাকার ফ্ল্যাটে।
চলাফেরা করেন দামি প্রাইভেট কারে। নিজে থাকেন কুষ্টিয়ার বাড়িতে। এছাড়াএকাধিক ব্যাংকে রয়েছে তার কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়াশহরের কোর্টপাড়ার স্যার ইকবাল রোডের ২৬/১ নম্বর বাড়িটি দেড় কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন আবদুল কুদ্দুস। চার কাঠা জমির ওপর অবসি’ত‘প্রবাসী কেয়া’ নামে আলিশান বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। চার তলা বিশিষ্ট বাড়িটিতে রয়েছে ৮টি ফ্যাট। এগুলো থেকে প্রতি মাসে ভাড়া পান প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় পাঁচ কাঠা জমির ওপর আবদুল কুদ্দুস নিজেই নির্মাণ করেছেন পাঁচ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। ২/২ শহীদ আবদুল হামিদ রোডের ‘শাওলী ভিলা’ নামে বাড়িটি নির্মাণ করেন তিনি। বর্তমানে বাড়ির সব তলাতেই ছাত্রী হোস্টেল। প্রতিটি রম্নমে তিন থেকে চারটি বেড বসিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে।
শহরের চৌড়হাস এলাকায় আবদুল কুদ্দুস এক তলা বিশিষ্ট আরও একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। উপজেলা পরিষদের সামনে ওসিম-কাসিম সড়কের ওই বাড়িটি চার কাঠা জমির ওপর নির্মিত। বাড়িতে রয়েছেন তিনজন ভাড়াটিয়া। বাড়ি দেখ ভালের জন্য আলমগীর হোসেন নামে স’ানীয় এক যুবক নিয়োজিত আছেন। শহরের সবচেয়ে অভিজাত মার্কেট হিসেবে পরিচিত পরিমল টাওয়ারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ৩টি দোকান ও চার তলার
অর্ধেক ফোর কিনেছেন আবদুল কুদ্দুস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিমল টাওয়ারের এক কর্মকর্তা জানান, ফ্লোর ও দোকানগুলো স্ত্রী ও তার নিজের নামে কেনা হয়েছে। ওই টাওয়ারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথম তলার একটি দোকান ৫০ লাখ ও দোতলার দোকান ৩০ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে। এছাড়াও শহরের অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটসহ কয়েকটি গুরম্নত্বপূর্ণ জায়গায় জমি রয়েছে তার। কুষ্টিয়ার একাধিক ব্যাংকে রয়েছে তার কোটি টাকা। রাজধানী ঢাকায়ও আবদুল কুদ্দুসের সম্পদ রয়েছে। ঢাকার মিরপুর-১০ ও শ্যামলীতে দুটি ফ্যাট আছে তার। মিরপুরের ফ্ল্যাটে থাকেন স্ত্রী ও সনত্মানরা। ঢাকায় স্ত্রী ও সনত্মানদের চলাচলের জন্য কিনে দিয়েছেন প্রাইভেট কার।
আব্দুল কুদ্দুসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন ঢাকাতে আছি এই বিষয়ে কথা বলতে পারবোনা।
এছাড়াও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সাব-রেজিস্ট্রার (অবসরপ্রাপ্ত) শরিয়ত হোসেন (৬১) তিনি কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়কের মৃত বালস্নক আলী মন্ডলের ছেলে, বাছি খিতুন (৪২) কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চিথলিয়া শেরপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের স্ত্রী, বাহাউদ্দিন(৪৮) (দলিল লেখক) নারায়ণপুর গ্রামের হাবিল উদ্দিন এর ছেলে ও লোকমান হোসেন (৩৯) শেরপুর গ্রামের বিলস্নাল হোসেনের ছেলে কর্তৃক পরস্পর যোগসাজশে নিজে অথবা অন্য কে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অসাধারণ করে প্রতারণামূলক ভাবে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখে দাতা হিসেবে দলিল সম্পন্ন করার অপরাধে। মামলা নংঃ দুদক, সজেকা, কুষ্টিয়া মামলা নং-০২, তারিখ ১৯/১১/২০২০ইং। ধারা-দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের ৫(২) ধারা।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post