মা ইলিশ রক্ষায় , সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে কোস্টগার্ডের ঢাকা জোনাল টিম।

মা ইলিশ

মা ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডের অভিযান । ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর সোয়ারীঘাট মাছের আড়ৎ ও তৎসংলগ্ন বিভিন্ন নদী এলাকায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে কোস্টগার্ডের ঢাকা জোনাল টিম।

এছাড়া দেশজুড়ে ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র কেন্দ্রিক বিভিন্ন নদীগুলোতে একযোগে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়।

কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের কমান্ডার এটিএম রেজাউল হাসান বলেন, ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা চালানো হবে। এছাড়া, মাছের আড়তগুলোতেও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কারণ ব্যবসায়ীরা মাছ না কিনলে, মাছের যোগান বন্ধ হবে। জেলেরা মাছ ধরতে উৎসাহী হবেন না।

মা ইলিশ

 

এ সময়ে বিভিন্ন নদী এলাকায় কোস্টগার্ডের বিশেষ টহল পরিচালিত হবে। যদি কেউ আইন অমান্য করে ইলিশ ধরেন, কেনাবেচা বা পরিবহন করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মৎস্য অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর বলেন, ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ ধরা, কেনা-বেচা, পরিবহন বন্ধ থাকবে। এ সময়ে কারো কাছে একটি ইলিশ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ আইন অমান্যকারীকে ১-২ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এ সময় পর্যন্ত যেসব জেলেরা মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকবেন তাদেরকে সরকারের কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

কোস্টগার্ড সদর দফতর জানিয়েছে, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০’ এর আওতায় কোস্ট গার্ড তৎপর ভূমিকা পালন করছে। বাহিনীটির দায়িত্বাধীন এলাকায় জনসচেতনতা তৈরি করতে ইতোমধ্যে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে। অভিযান সফল করতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক একক ও যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালিত হবে।

মা ইলিশ

এই অভিযানের আওতায় কোস্ট গার্ডের ৫ টি ঘাঁটি, ২৩ টি ছোট-বড় জাহাজ এবং ৫৮ টি স্থায়ী ও ৪ টি অস্থায়ী কন্টিনজেন্টের সদস্যরা শতাধিক বোটের মাধ্যমে নদীতে সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post