খুলনায় বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

আলুর কৃত্রিম সংকট,

বি এম রাকিব হাসান, খুলনা:  প্রশাসনের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণের পর খুলনার সোনাডাঙ্গা পাইকারী কাঁচাবাজার, বড় বাজারসহ আলুর হাটে আলু বিক্রি বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজ থেকে ব্যবসাযীরা আলু বের না করায় পাইকারী বাজারে আলু সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আলু না কিনেই ক্রেতাদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, আড়ৎ থেকে আলু নিতে হয় ৪০-৪৩ টাকা কেজিতে। অথচ ৩০ টাকা দর নির্ধারণ করেছে সরকার। এ অবস্থায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা হাটে আলু তুলেননি।
এদিকে পাইকারী বাজারে আলু না থাকায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল কাদির বলেন, পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হয়। কিন’ খুচরা বাজারে ৩০ টাকার বেশি দরে বিক্রি করলে জরিমানা গুণতে হয়। সে জন্য অন্যান্য সবজি বিক্রি করলেও আলু ক্রয়-বিক্রি বন্ধ রেখেছি।

আলুর কৃত্রিম সংকট,

বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, প্রশাসন আলুর পাইকারি দর ২৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন’ আমাদের বাইরে থেকে আলু কিনতে হয় ৪৩ টাকা দরে। আর ২৫ টাকার বেশি মূল্যে বিক্রি করলে অভিযানে জরিমানার ভয় রয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কিছু ব্যবসায়ী আলু মজুদ রেখেছেন। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বেশি মূল্য নিয়ে তারা দোকানের পেছনে আলু বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে মহানগরীর দৌলতপুর বাজার ও খালিশপুরে অবসি’ত চিত্রালী বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসন, খুলনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিফ-উল-হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসময়, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ এর ৪৩ ধারায় এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় চারটি মামলায় মোট ২ হাজার ৩শ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
জানা যায়, টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রির সিদ্ধানত্ম নিয়েছে সরকার। আগামী তিনদিনের মধ্যে টিসিবি ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গত রোববার বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে কোল্ডস্টোরেজ মালিক, আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে তিন সত্মরে যে দাম নির্ধারণ করে

আলুর কৃত্রিম সংকট,

দেওয়া হয়েছে। সেটা কঠোরভাবে বাসত্মবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা ও খচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বাজার দর মনিটরিং করা, বাজারে দাম বাড়া-কমার কারণ চিহ্নিত করা এবং তা সি’তিশীল করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া। ‘তারা এসব বিবেচনা করে একটা পরামর্শ আমাদের কাছে দিয়েছে। আমাদের কাজ হলো ভোক্তাদের স্বার্থ দেখা। সেজন্য তারা যে পরামর্শ দিয়েছে সেটা যেন ভোক্তারা পায় তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। এজন্য আমরা আলোচনায় বসেছি। ’

আলুর কৃত্রিম সংকট,

Post a Comment

Previous Post Next Post