গাংনীতে সৎ মেয়ের পর এবার প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষন

dor

Gangni Repist

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম :   মেহেরপুরের গাংনীতে প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষনের অভিযোগে আবু তাহের নামের এক লম্পটের বিরম্নদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ঐ মহিলার ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তাহেরের নামে গাংনী থানায় ধর্ষনের মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকে আবু তাহের পলাতক রয়েছে। সে ধানখোলা বাগান পাড়ার মৃত ইসলাম আলীর ছেলে।
গাংনী থানার ওসি তদনত্ম মো: সাজেদুল ইসলাম জানান,সোমবার দিবাগত মধ্যে রাতে প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষনের অভিযোগে লম্পট আবু তাহেরের বিরম্নদ্ধে একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২০ তাং ১৮.০৮.২০২০ ইং। মামলার পলাতক আসামী আবু তাহেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রতিবন্ধী ঐ মহিলাকে ডাক্তারী পরীড়্গার জন্য আজ বুধবার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে। এরপর আদালতে ২২ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দেবেন সে।
মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা এস আই হাবিব জানান,প্রতিবন্ধী মহিলার বাড়ি কসবা গ্রামে। সে তার খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসলে লম্পট আবু তাহের জোর পূর্বক ধর্ষন করে ।
গাংনী থানার ওসি তদনত্ম মো: সাজেদুল ইসলাম আরো জানান,লম্পট আবু তাহের ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তার ৫ বছর বয়সি সৎ মেয়েকে যৌন নির্যাতন করে। ঐ ঘটনায় মেয়েটির মা মফিরন নেছা বাদী হয়ে গাংনী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নম্বর ১৪। তারিখ ১৬-১২-১৯ ইং । মামলায় জামিন পেয়ে জেলা কারাগার থেকে কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর সৎ মেয়ে ও মা মফিরনকে কয়েকবার হামলা করে। এক পর্যায় মফিরন লম্পট আবু তাহেরকে তালাক দিকে বাধ্য হয়। তালাক হওয়ার পরও মফিরন ও তার মেয়েকে নানা ভাবে অত্যাচার শুরম্ন করেছে।

গাংনীর মটমুড়ার গাঁজাচাষী দুলাল হোসেনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

Gangni Gaja pic-2Gangni Repist

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম :  মেহেরপুরের গাংনীর মটমুড়া গ্রামের গাঁজাচাষী দুলাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেল গেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওসি তদনত্ম মো: সাজেদুল ইসলাম। সে মটমুড়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে।

গাংনী থানার ওসি তদনত্ম মো: সাজেদুল ইসলাম জানান, গাঁজাচাষী দুলাল হোসেন সম্প্রতি আদালতে অত্মসমর্পন করেন। আদালতে তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের জন্য জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় গাঁজার গাছ সংগ্রহ ও বিক্রি সহ চাষের সাথে জড়িতদের বিষয়ে গুরম্নত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে । মামলার তদনেত্মর স্বার্থে সবকিছু এখনই বলা সম্ভব হচ্ছেনা। মামলার সুষ্ঠু তদনেত্মর প্রয়োজনে আবারো রিমান্ড আবেদন করা হবে।
উলেস্নখ্য : দুলাল হোসেন তার বাড়ির পার্শে গাঁজা চাষাবাদ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে ১শ’৯০টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের উপ পরিদর্শক আলী রেজা বাদী হয়ে দুলাল হোসেন ও তার স্ত্রী শেফালীর নামে গাংনী থানায় একটি মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৩২। তাং ৩০.০৭.২০২০ ইং। মামলায় দুলালের স্ত্রী শেফালী খাতুনকে আটক করলেও পুলিশের উপসি’তিটের পেয়ে গাঁজা চাষী দুলাল হোসেন পালিয়ে যায় । দুলাল হোসেন আদালতে আত্মসমর্পন করে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post