খুলনার ট্রিপল মার্ডার, জাফরিনসহ তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর

বি এম রাকিব হাসান :  খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালীতে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামি শেখ জাফরিন হাসানসহ তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল রবিবার দুপুরে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শেখ জাফরিন হাসানকে ৮ দিন, আরমান ও জাহাঙ্গীরকে ৭ দিনের পুলিশী রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে এজাহারভুক্ত ওই তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গুলিতে নিহত সাইফুল শেখের পিতা সাইদুল শেখ গত শনিবার রাতে বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উলেস্নখ ও অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ে করেন। যার নং ১২, তারিখ ১৮/০৭/২০২০ ইং।
এর আগে শনিবার বিকেলে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে মামলার অন্যতম আসামি শেখ জাফরিন হাসানকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া শুক্রবার যশোরের অভয়নগর থেকে আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে মামলার প্রধান আসামী জাকারিয়ার শ্যালক আরমানকে ও গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। গ্রামের যে স’ানে তাদের গুলি করা হয়েছিল, সেখানেই তাদের দাফন করেছে বিড়্গুব্ধ গ্রামবাসী। তবে গণপিটুনিতে নিহত জিহাদ শেখের লাশ এখনো গ্রামে নেওয়া হয়নি। হাসপাতালেও লাশ নিতে আসেনি তার স্বজনরা। পরিসি’তির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় ময়নাতদনেত্মর পর লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে রাখা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. খ ম শফিউজ্জামান এ তথ্য জানান।
অপরদিকে মূল অভিযুক্ত জাকারিয়া হোসেনকে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মশিয়ালীতে সংঘটিত ঘটনা দলীয় কোনো বিষয় নয়। ঘটনাটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক, যার দায়ভার ওইসব ব্যক্তির, দলের নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাসিত্মর দাবি জানান।

সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে
মাছ শিকার, ৮ জেলে আটক

খুলনা ব্যুরো:
সুন্দরবনের ভদ্রা নদীর খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় ৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় জেলেদের কাছে থাকা অবৈধ বিষ, মাছ ধরার জাল ও ডিঙি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউলস্নাহ এসব তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলো, তুহিন মীর, সোহরাব সানা, দীপক সরকার, তপন সরকার, নিশীত মন্ডল, অলোক সরকার, সেলিম সেখ ও মিরাজ মলিস্নক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত সুন্দরবনে সবধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হচ্ছে। মৎস্য সম্পদ সংরড়্গণ, প্রজনন ও সুন্দরবনের অভ্যনত্মরে বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধের লড়্গ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। এসময়েও সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপ থানার কালাবগির ভদ্রা নদীর খালে জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ ধরছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৮ জেলেকে আটকের পাশাপাশি মাছ ধরার অবৈধ বিষ, ১২শ’ ফুট জাল ও ৪টি ডিঙি নৌকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার পিছনে মুন্না বাহিনীর সংশিস্নষ্টতা পাওয়া গেছে। মুন্না বাহিনীর নির্দেশে জেলেরা সুন্দরবনে বিষ দিয়ে শুধু মাছই নয় কুমির, সাপ, কচ্ছপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী হত্যা করছে বলে অভিযোগ আছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post