বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর যে কোন সময়

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মাজেদ। ফাইল ছবি

 কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি ক্যাপ্টেন (চাকরিচ্যূত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রেকি করেছে জল্লাদরা। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে এই জল্লাদ টিমটিতে রয়েছেন মনির ও সিরাজ। ফাঁসির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শুক্রবার রাতে তার স্বজনরা কারাগারে শেষ দেখা করেছেন।

এদিকে, নতুন স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটিই হবে প্রথম ফাঁসি। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হবে। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন।কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) লে. কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, যে কোন সময় এই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ফাঁসি কার্যকর করতে কারাগারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্বজনরা শেষ দেখাও করেছেন।এর আগে শুক্রবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষ মাজেদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে ফোন করে শেষ দেখা করার তথ্য জানায়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর মাজেদের স্ত্রী ডা. সালেহা বেগম, মাজেদের এক ভাই, এক বোন ও একজন ভাতিজাসহ ৫ জন কারাগারে দেখা করেন।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর কারাগারের বন্দী সেলগুলো লক করে দেওয়া হয়েছে। কারাগারের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে যতটুকু সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যায়-তাই করা হয়েছে।

গত ৮ এপ্রিল মৃত্যর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post