মিয়া পারভেজ আলম মোল্লাহাট প্রতিনিধি ঃ মোল্লাহাটের জিড়েনতলা এলাকার মছিরোন নেছা মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে ওই মাদ্রাসার সার্বিক তত্বাবধায়ক মাওঃ আঃ আহাদ মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরণের একাধিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বৈঠক করে ওই মাদ্রাসা বন্ধ রাখার জন্য বলেছে মাওঃ আঃ আহাদ ও তার পরিবারের সকলকে। এছাড়া বার বার জঘণ্য কর্মকান্ডের জন্য দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবীও করেন ভিকটিম ও এলাকাবাসী। অবশ্য ভিকটিমের ঘনিষ্ট এক আত্নীয় মান-সম্মান বিবেচনায় সামনের দিকে না এগোনোর জন্য মোবাইলে অনুরোধ করেন প্রতিবেদকদ’কে।
ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী (ভিকটিম) ও তার মা পাশের গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জানান-গত জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখ রাত অনুমান ৮/৯টার দিকে হাত-পা বেধে এবং মূখে গামছা ঢুকিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে মাওঃ আঃ আহাদ। এরপর তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ চুপ থাকতে বলা হয়। ওই ঘটনায় মেয়েটি অসুস’্য হয়ে পড়ায় পরের দিন সকালে মাওঃ আঃ আহাদের স্ত্রী ওই মাদ্রাসার হুজুর (শিক্ষক) রাবেয়ার কাছে ছুটি চায়। রাবেয়া তাকে ছুটি না দেয়ায় এবং বেশি অসুস’্যতার একপর্যায়ে ভিকটিকে তার মা বাড়িতে আনেন। এরপর ভিকটিম তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। সম্মানের কথা ভেবে এবং কি করা উচিত বুঝে উঠতে না পারায় প্রথমে চুপ ছিলো। এখন তারা এর যথাযথ বিচার দাবী করেন।
গাংনী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত (রিকুত) কাজি বলেন-প্রথমে তারা বিষয়টি জানতেন না, এখন জেনেছেন এবং এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতে হবে।
কুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান রুহুল বলেন-হুজুর নামের কলঙ্ক মাওঃ আঃ আহাদ, সে নিজ বাড়ির আবাসিক মহিলা মাদ্রাসার আরো দুই ছাত্রীকে ইতিপূর্বে ধর্ষণ করে জরিমানা দিয়েছে, ওর স্বভাব অত্যন্ত খারাপ, ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
নগরকান্দি বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ বাচ্চু শেখ বলেন, জঘন্য এ ঘটনার অবশ্যই বিচার হতে হবে, কোনরূপ ভয় বা অন্য কোন কারণে ভিকটিম পক্ষ যদি বিচার না চায়, তবুও এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে তারা প্রয়োজনে আইনী আশ্রয় গ্রহণ করবেন। আরো অনেকে এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করেন।
কুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সাইফুজ্জামান বালেন-এতোবড় জঘণ্য অপরাধীর বিরুদ্ধে আপনারা লিখেন, এর আগেও একাধিক মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, এখন আবার ধর্ষণ করে দেড় লাখ টাকায় মিমাংসা করতেছে। এর বিচার হওয়া উচিত।
ঘটনার খোজে মাওঃ আঃ আহাদের বাড়ি এবং ওই মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে না পাওয়ায় কিছু জানতে চাওয়ার আগেই তার মা রিজিয়া বলেন-তার ছেলে অত্যন্ত ভালো, আপনারা (সাংবাদিক) কেন আসছেন বুঝতে পারছি, গতরাতে গ্রামে বৈঠক হইছে, ওই মেয়ে-ডা স্বরল, কি-কতি কি কইছে তাই, আমার ছায়ালের দোস দেচ্ছে, আমার ছায়াল কিছু করেনাই।
মাওঃ আঃ আহাদের স্ত্রী ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রাবেয়া বলেন-প্রায় এক/দেড় মাস আগে ওই মেয়েটার মামা আমার স্বামীকে নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে বলেছিলো আপনি যা করেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষামা চাইয়েন, আমরা ক্ষমা করে দিছি, আরপর আর মেয়েটা মাদ্রাসায় আসে না, এতদিন পরে মাদ্রাসা বন্ধ করতে বলছে এলাকাবাসী। এর আগেও অপর একটি মেয়েকে দিয়ে এরকম ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো।
এবিষয়ে মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জকে মোবাইল করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
#############
মিয়া পারভেজ আলম
মোল্লাহাট প্রতিনিধি