কোল্ড ইনজুরিতে মেহেরপুরের বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য

স্টাফরিপোটার  : মেহেরপুরে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারনে কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো বীজতলা। লালচে রং ধারন করে পঁচে যাচ্ছে ধানের চারা। ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোন লাভ হচ্ছেনা। চাষিরা ইতোমধ্যে বোরো রোপণ শুরু করলেও চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে আশংকা করছে কৃষকেরা।
অনাবৃষ্টি আর খরার কারণে গত আমন মৌসুমে পুড়ে গেছে কৃষকের ধান। চলতি বোরো মৌসুমে কিছুটা হলেও সে লোকসান পুষিয়ে নিতে নতুন উদ্যোমে প্রস’তি নিচ্ছিল কৃষকেরা। অনেকেই এ মৌসুমে বেশি করে বীজতলা তৈরি করেছিল। কিন’ কয়েক দিন আগের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা প্রভাব হিসেবে কোল্ড ইনজুরির শিকার হয়েছে অনেক চাষির বোরো বীজ তলা। লালচে রং ধারন করে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানের চারা। কারো কারো ধানের চারা ঠিকমত গজায়নি। বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। সবচেযে বেশি ক্ষতিগ্রস’ হয়েছে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদপপুর, রাজাপুর,বন্দর, উজলপুর ও মনোহারপুর গ্রামের মাঠের বীজতলা। এছাড়াও গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার অনেক মাঠে বীজতলা নষ্ট হবার খবর পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, আমরা বৃষ্টির জমা পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে থাকি। এ বছরে তেমন বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে চারা তৈরি করতে বাড়তি খরচ হয়েছে। অনেককে চড়া দামে জমি ভাড়া নিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়েছে। তারপরও চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের আরো কয়েকজন কৃষক বলেন, ইতোমধ্যে মাঠের প্রায় ৪০ ভাগ চারা নষ্ট হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনে হঠাৎ করে চারা লালচে বর্ণের রং ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগও করেন নাই। কোন প্রকার পরমর্শ না পেয়ে আমরা নিজেরা বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে চারা বাঁচানোর চেষ্টা করছি। কিন’ তাতে কোন কাজ হচ্ছেনা। ফলে অনেকেই কাঙ্খিত জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন না।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কোল্ড ইনজুরিতে যে পরিমাণ চারা ক্ষতিগ্রস- হয়েছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তাছাড়া এখন তাপমাত্রা বেড়েতে শুরু করেছে, এতে লালচে রং ধারণ করা অনেক চারা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কৃষকের চিন-ার কোন কারণ নেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post