গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর হত্যার ঘটনায় আটক-১ ঃ হত্যার রহস্য উদঘাটন

 হত্যার রহস্য উদঘাটন

মহেরেপুর প্রতনিধি িঃ গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মুনায়েম হোসেন (৪৬) নামের এক অটোভ্যান চালককে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। আটক মুনায়েম মহিষাখোলা গ্রামের দক্ষিণ তেঁতুলবাড়ীয়া পাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, মহিষাখোলা গ্রামের মৃত হাউস আলীর মেয়ে ও একই উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শিপন আলীর স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৩০) দু’পুত্র সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। গত সোমবার দিবাগত সন্ধ্যা রাতে আফরোজা মহিষাখোলা গ্রামের অন্যপাড়ায় ভাইদের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে আর ফিরে না আসায় মা কোহিনুর প্রতিবেশীদের জানায়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে পায়নি। পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির অদূরে কোড়িনের মাঠের একটি তূলা ক্ষেতে তার ব্যবহৃত ওড়না ও স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে মাঠের কৃষকরা। এ সময় পাশেই ওই গ্রামের চাঁদ আলীর একটি পুকুরে আফরোজার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই (২৪/১২/১৯ ইং তারিখ) তার ভাই শাহারুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামাদের নামে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২০।

এদিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মোরাদ আলীর নির্দেশে (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সন্দেহভাজন হিসাবে বুধবার বিকেলে মহিষাখোলা গ্রামের দক্ষিণ তেঁতুলবাড়ীয়া পাড়া থেকে মুনায়েম নামক এক ভ্যান চালককে আটক করে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল। আটকের পর তাকে থানায় নেয়া হয়। এ সময় গাংনী থানার ওসি উপসি’ত ছিলেন। পরে বুধবার দিবাগত রাতে মুনায়েমকে সাথে নিয়ে গাংনী থানা পুলিশ হত্যার স্পটে নিয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত লুকিয়ে রাখা রশি একটি পান বরজ থেকে উদ্ধার করা হয়। মুনায়েমকে আজ বৃহস্পতিবার মেহেরপুর আদালতে নেয়া হলে,সে স্বীরোক্তিতে জানায়,আফরোজার স্বামী শিপন প্রায় ৬ বছর যাবত প্রবাসে থাকায় তার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ি। আফরোজা কিছু দিন আগে থেকে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে প্রেমের বিষয়ে ফাঁসানোর জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। এ হুমকির কারণে সোমবার রাতে টাকা দেয়ার নাম করে কৌশলে মাঠে নিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা শেষে পুকুরে লাশ ফেলে আসি।

Post a Comment

Previous Post Next Post