ভবনের সকল কক্ষে তালা লাগিয়েছে চিহ্নিত দৃর্বৃত্তরা
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : সরকারী ভাবে বিতরণকৃত শীতবস্ত্র (কম্বল) লুটপাটে ব্যর্থ হয়ে ইউনিয়ন সচিবকে লাঞ্ছিত , চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর ও ভবনের সকল কক্ষে তালা লাগিয়েছে চিহ্নিত দৃর্বৃত্তরা। এমন দুঃসাহসিক ঘটাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে।আজ সকাল মঙ্গলবার সকাল পৌণে ১১ টার সময় বেতবাড়ীয়া ,পীরতলা, নওদাপাড়া ও কাজীপুর গ্রামের ২৫-৩০ জনের সংঘবদ্ধচক্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে লুটপাটের চেষ্টা চালায়।এ ঘটনায় সচিব বাদী হয়ে গাংনী থানায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আলাইহিম ও রাজুকে পুলিশ আটক করেছে।
সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, সম্প্রতি গরীব, অসচ্ছল, অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে প্রত্যেক ইউপিতে শীতবস্ত্র (কম্বল) প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজীপুর ইউপির স্টোররুমে কম্বল সংরক্ষণ কর হয়েছে। আজ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের উপসি’তিতে কম্বল বন্টনের সিদ্ধান্ত ছিল। সচিব আব্দুর রহমান জানান,সকালে বেতবাড়ীয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে আলাইহিম, হকার ছেলে রাজু, ফজলের ছেলে ছমির আলী, কিফারতের ছেলে ইমারুল, ইয়ার আলীর ছেলে তরিক,ময়নালের ছেলে বাচ্চু,পীরতলার জালালের ছেলে জাহাঙ্গীর, নওদাপাড়ার ফজুর ছেলে হাফিজুর রহমান, কালুর ছেলে আকবর, কাজীপুর গ্রামের তৌকির মোল্লার ছেলে আবু মোল্লা, ইমেদ মেলেটারীসহ ২৫ /৩০ জন দুর্বৃত্ত পরিষদ ভবনে বীরদর্পে ঢুকে সচিবের কাছে কম্বল দাবি করে। সচিব তাদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করলেও দুর্বৃত্তরা সচিবকে অফিস থেকে টেনে বের করে নিতে চা্য়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লাঞ্ছিত করে। এসময় দায়িত্বরত চৌকিদার দফাদাররা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাদের উপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যানের অফিস ভাংচুর করে। পরে স্টোররুমসহ সবকয়টি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় এবং অফিস পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ নিয়ে ইউপি সচিব আব্দুর রহমান আরও জানান, আলেহিমের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন মাস্তান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাকে অকথ্যভাষায় গালি দেয়, অপমান করে এবং কম্বল না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কম্বলের বিষয়টি এমপি মহোদয় ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর জানানোর পরামর্শ দিলে তারা মাননীয় এমপি ও চেয়ারম্যানকেও অকথ্য ভাষায় কটুক্তি করে। আমি সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান ও আমাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবগত করেছি।
একদল দুর্বৃত্ত কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালাচ্ছে এমন খবরে স’ানীয় পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আহমেদ আলী জানান, আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে তাদেরকে শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও পরিসি’তি স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দিয়ে চলে যাওয়ার পরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ জানান, আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস’ থাকায় কিছুটা পরে পরিষদে এসেছি। এসে দেখি, আমার কার্যালয়ের সকল আসবাবপত্র লন্ডভন্ড,ভাংচুর করে রেখেছ্ে। পরিষদের সব কক্ষে তালা লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা ।
এব্যাপারে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান জানান, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে একদল দুর্বৃত্ত ভাংচুর ও তালা লাগানোর খবর আমি পীরতলা ক্যাম্প ইনচার্জের মাধ্যমে পেয়েছি।ইউপি চেয়ারম্যান সচিব ও মেম্বরবৃন্দ থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে সরকারী অফিস ভাংচুর ও তালা লাগানোর অপরাধে আইনানুগ ব্যবস’া নেয়া হবে।