ভৈরব প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়তে জেলি দিয়ে চিংড়ি মাছের ওজন বৃদ্ধির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে ক্ষতিকর জেল মিশ্রিত ১১০ কেজি চিংড়ি মাছও জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত আটটার সময় ভৈরব নৈশ মৎস আড়তে ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দন্ডিতরা হলেন আড়তের অন্তর ফিস এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর সুজন বর্মণসহ এক বেপারী । ভৈরব মেঘনা মৎস্য আড়তের অন্তর ফিস এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর সুজন বর্মণ শহরের জগন্নাথপুর উত্তরপাড়া এলাকার সূর্য্য বর্মণের ছেলে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে শহরের পলতাকান্দা এলাকার ভৈরব মেঘনা মৎস্য আড়তে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আড়তের অন্তর ফিস এন্টারপ্রাইজে জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর জেল মিশ্রিত ১১০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানার কাছে মাছের ওজন বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর জেলি মেশানোর কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত সুজন বর্মণ। পরে মাছ ব্যবসায়ী সুজনসহ এক ব্যাপারিকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয় এবং জব্দকৃত চিংড়ি মাছগুলো স্থানীয় ৫টি এতিমখানায় বন্টন করে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, ক্ষতিকর জেলি চিংড়ি মাছে মিশিয়ে ভোক্তার সাথে প্রতারণা এবং স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরির দায়ে অভিযুক্ত সুজন বর্মণকে ওই জরিমানা করা হয়। এ রকম যারা করবেন ভবিষ্যতে, তাদের আরও কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।