আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনীতে সরকারী জায়গায় একাধিক গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কর্তনকৃত গাছপালা উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও অজ্ঞাতকারনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি একটিরও।জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস’া নেয়া হয়নি। এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাংনীতে ভুমি অফিসের যোগসাজশে শত বছরের লক্ষাধিক টাকা মূল্যে’র সরকারী গাছ কাটা হলেও প্রকৃত আসামীদের নাম বাদ দিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে রিপোর্ট দায়ের করার খবর পাওয়া গেছ্ে ।এ যেন ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে’ এর মত অবস’া। সম্প্রতি ০২-০৬-১৯ ইং তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পালের নির্দেশে কর্তনকৃত গাছ গুলো জব্দ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে আজও জড়িত ব্যক্তিদের নামে কোন মামলা করা হয়নি। মটমুড়া ইউনিয়নের মহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়া মরা নদীর পার্শ্বের রাস্তার শত বছরের কাঁঠাল,মেহগুনি ও শিশু গাছ কর্তন কারী ওই গ্রামের হাউসের নাতনি ইমরান হোসেন,হাউস আলীর ছেলে সেন্টু মিয়া,আব্দুল আলিমের ছেলে ফরিদ হোসেন,আজিজুল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন, জামালের ছেলে জাকির হোসেন ও ভূমি অফিসের স্টাফ মহিবুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ওরফে সনি প্রমুখ।এদের মধ্যে ২/১ জনের নাম থাকলেও নির্দোষ ব্যক্তিদের নাম দেয়া হয়েছে। স’ানীয়রা জানায়,মটমুড়া ভুমি অফিসের তহশিলদার ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা বদরুন নাহার (শাপলা)’র সহায়তায় এসব গাছ কর্তন করা হয়েছে। গাছ কর্তনে অফিস স্টাফ সনির সহায়তায় ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
একইভাবে স’ানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের আওতাধীন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউপির ভোলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশের শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেলেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।সরকারী রাস্তার পার্শ্বের গাছ কেটে সাবাড় করা হলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুওে ০৪-০৪-১৯ ইং তারিখে উপজেলার ভোলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দীনের ছেলে রফিকুল ইসলাম তার বাড়ীর সামনে শতবর্ষী বটগাছ সরকারী রাস্তার গাছ জেনেও প্রভাব বিস্তার করে অবাধে কেটে উজাড় করেছে।জানা গেছে, প্রশাসনের অগোচরে একটি বড় বটগাছ (যার আনুমানিক মূল্য ৫০-৬০ হাজার টাকা) প্রকাশ্যে কেটে ফেলেছে। রফিকুল ইসলাম নামের একজন প্রভাবশালী রাস্তার গাছ কাটলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস’া নেয়া হয়নি। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অীফসারের নির্দেশে ভূমি অফিসের (সার্ভেয়ার)আমিন সরেজমিনে গিয়ে পরিমাপ করে রাস্তার গাছ বলে রিপোর্ট দিয়েছেন এবং কর্তনকৃত গাছ জব্দ করে স’ানীয় গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।অন্যদিকে স’ানীয় জরীপকারী আমিন গাছটি মালিকানা জায়গায় বলে মন্তব্য করেছ্ে। পাশাপাশি বন বিভাগের লোকজন সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা বা এপর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস’া নেয়া হয়নি।
একইভাবে সম্প্রতি ২৬-০৯-১৯ ইং তারিখে হোগলবাড়ীয়া মাঠপাড়া গ্রামে সরকারী রাস্তার পার্শ্বের জমিতে বাঁশ কাটা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬ টি বাঁশ উদ্ধার করা হলেও জড়িত বিরুদ্ধে অদ্যাবধি একটিও মামলা করা হয়নি। তবে কি ধরে নেয়া হবে উপজেলা প্রশাসন শুধুমাত্র লোক দেখানো খবরদারি করে।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম
গাংনী,মেহেরপুর
তাং-০২-১০-১৯ ইং
মোবাইল ০১৭১৭০০৮৩৫৫