নিহত রানার লাশ।
শাহানুর খাতুন।
স্টাফরিপোটার : (২৮-০৯-১৮) পরকিয়ার জের ধরে রানা নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে দিবালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কলাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগানে রানাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার সহ শাহানুর খাতুন নামের এক মহিলাকে আটক করেছে। নিহত রানা হক (৪২) কলাইডাঙ্গা গ্রামের হিসাব আলীর ছেলে। জানা গেছে কলাইডাঙ্গা গ্রামের আসাদুলের স্ত্রীর সাথে হিসাব আলীর ছেলে রানার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি শাহানুরের ছেলে ইব্রাহিম জেনে যায়। গতকাল শুক্রবার বিকালের দিকে কলাইডাঙ্গা গ্রামের মামুন চৌধুরীর আম বাগানে শাহানুরকে দিয়ে কৌশলে রানাকে ডেকে আনে এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ইব্রাহিম, আবু তালেবের ছেলে হেলাল এবং মতিয়ারের ছেলে সোহাগ রানার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি অস্ত্রাঘাতে ঘটনা স’লে রানার মৃত্যু হয়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস’লে পৌছে নিহত রানার বিকৃত লাশ উদ্ধার করে। একই সাথে আসাদুলের স্ত্রী শাহানুরকে আটক করে। আটক শাহানুর জানান, আমি ভেড়া চড়ানোর সময় ইব্রাহিম, হেলাল ও সোহাগ তাকে কুপিয়ে খুন করে। মেহেরপুর সদর থানার এসআই আহসান হাবিব জানান, পরকিয়ার কারণেই কৌশলে রানাকে ডেকে এনে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ব্যবপারে নিহত রানার পিতা হিসাব আলী বাদী হয়ে মামলার প্রস’ত নিচ্ছেন। এদিকে নিহত রানার লাশ সদর উপজেলার বারাদী পুলিশ ক্যাম্পে এনে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে তার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত রানা ২ সন্তানের জনক। এদিকে হত্যাকারীদের আটক করতে পুলিশ র অভিযান শুরু করে দিয়েছে।