মেহেরপুরে ছিনতাই মামলায় ৩ জনের ৫ বছরের ও অস্ত্র মামলায় ১ জনের ১০ বছরের কারাদন্ড

কারাদন্ড
কৌশিক আহমেদ শিমুল: মেহেরপুরে ছিনতাই মামলায় সরাফ উদ্দীন, মোফা এবং নজরুল ইসলাম নামের ৩ ব্যক্তিকে ৫ বছর করে সশ্রম করাদন্ড ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের করে জেল দিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে মোফা পলাতক রয়েছে। মেহেরপুর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম সোমবার এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত সারাফ উদ্দীন মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের সোবহান এর ছেলে, মোফা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের মাছের আলীর ছেলে এবং নজরুল ইসলাম সাজাপ্রাপ্ত মোফার ছেলে।অন্যদিকে একই দিনে স্পেশাল ট্রাইবুনাল ৪র্থ আদালতে বিচারক অস্ত্র মামলায় পিরোজপুর গ্রামের লাল্টু নামের এক ব্যক্তিকে ১০ বছর সশ্রম করাদন্ড দিয়েছেন। লাল্টু পিরোজপুর গ্রামের আবুলখার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ বিশ্বাসের ছেলে কাবিল উদ্দীন এর মোটর সাইকেলযোগে ব্যবসায়িক কাজে পাশের গ্রামে যাবার পথে নিশ্চিন্তপুরের মহোরমের কলা বাগানো কাছে পৌছা মাত্র একদল ছিনতা্‌ইতারী অস্ত্রের মুখে কাবিল উদ্দীনের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। তার কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা, হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেল (মেহেরপুর ২-২১০১) এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এঘটনায় কাবিল উদ্দীন বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৭। সেশন ২/২০১০। জিআর কেস নং-৫১২/৮। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষি প্রদান করেন। এতে আসামীরা দোষী প্রমানিত হওয়ায় আদালত প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম করাদন্ড ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের জেল দেন।
এদিকে অপর মামলার বিবরণে জানা গেছে গাংনী র‌্যাবের একটি দল ২০১২ সালের ৯ মে দুপুরের দিকে মেহেরপুর মৎস উৎপাদন খামার এলাকা থেকে লাল্টুকে আটক করার পর তার কাছ থেকে ১টি দেশি তৈররি এলজি সাটার গান, ৪টি ককটেল উদ্ধার করে। এঘটনায় লাল্টুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার এসটিসি নং-১১০/১২। জিআর কেস নং-৩১৪/১২। মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষি প্রদান করেন। এতে লাল্টু দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছর জেল দেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে এপিপি এসএম রুস-ম আলী এবং আসামী পক্ষে মারুফ আহাম্মদ বিজন কৌশুলী ছিলেন।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post