প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে রঙ্গলীলায় ধরা খেলো সেনা সদস্য বাচ্চু।

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম: গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা সেন্টার পাড়ার ফকির চোর ওরফে জলিলের ছেলে সেনা সদস্য বাচ্চু প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে রঙ্গলীলা করার সময় বেরসিক জনতার হাতে ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে।গত বৃহস্পতিবার রাতে হাড়াভাঙ্গা হালসানা পাড়ার সৌদি প্রবাসী শরিফুলের স্ত্রী বিউটি খাতুনের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাকালীন সময়ে স’ানীয় জনগণের হাতে ধরা পড়ে এখন গ্যাড়াকলে।স’ানীয়রা জানান, ফকির মন্ডলের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে বাচ্চু সেনাবাহিনীতে বর্তমানে চাকরীরত। বর্তমানে বাচ্চু রংপুর সেনা ক্যান্টনমেন্টে সিপাহী পদে কর্মরত ।অনেকদিন ধরে বাচ্চু ৩ সন্তানের জননী সুন্দরী বিউটির সাথে অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল। কয়েকদিন আগে বিউটির প্রেমে হাবুডুবু খেতে ছুটিতে বাড়ী আসে বাচ্চু। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১ টার সময় বাচ্চু সবার অগোচরে পিছনের দরজা দিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করে।এক পর্যায়ে প্রতিবেশী বেরসিক জনতাদের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি বিউটির শ্বাশুড়ী জাহানারাকে জানায়। বউমা বিউটির চলাফেরা ও আচরণে সন্দেহ হলে লোকজন নিয়ে বিউটির ঘরে তালা লাগায়। এসময় সেনা সদস্য বাচ্চু ও বিউটি অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস’ায় হালসানা পাড়ার লোকজন ঘরে আটকিয়ে রাখে। এখবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চুর পরিবারের লোকজন গ্রামের প্রভাবশালী বহু অপকর্মের নেতা নজরুল ইসলাম মিলিটারী পোষা ক্যাডারদের পাঠিয়ে বিউটির বাড়ী থেকে জোরপূর্বক বাচ্চুকে নিয়ে আসে। পরে এলাকায় শুরু হয় নানা গুঞ্জন-সমালোচনা।এই গুঞ্জন থামাতে শুরু হয় ভয়ভীতি দেখানো ও বিভিন্ন লোকজনকে ম্যানেজ করার। এদিকে পরেরদিন শুক্রবার সকালে ৯ টা পর্যন্ত লজ্জা, সম্মান,কেলেংকারী, অপবাদ, কলংক মুছতে বিউটি বাচ্চুর বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অবস’ান করে। পরে বাচ্চু প্রভাবশালী নজরুল মেলেটারীকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে বিউটিকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
পরদিন শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিউটি শ্বাশুড়ী জাহানারা জানান, আমার বউমা দজ্জাল, চরিত্রহীনা একটা নষ্টা মহিলা। তার চলাফেরা ও আচরণে আমি নিষেধ বা বাঁধা দিলে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটতে আসে। আমি প্রাণ রক্ষায় ঘরের মধ্যে পালিয়ে যায়।এর আগেও নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। সে আলাদা ফ্লাট বাড়ীতে বসবাস করে।আমার ছেলে তার নামে ৫ বিঘা জমি, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ১০ লক্ষ টাকা তার নামে দিয়েছে। সে কাউকে তোয়াক্কা করে না।
বিউটি খাতুন জানায়,দীর্ঘদিন ধরে আমরা দুজনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছি। বিভিন্ন সময়ে বাচ্চু আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।এক পর্যায়ে পাড়ার লোকজন আমাদের সন্দেহ করে ঘরে আটকিয়ে রেখেছিল।গ্রামের নজরুল মেলেটারীর লোকজন এসে বাচ্চুকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুক্রবার আমি বিয়ের দাবীতে তার বাড়ীতে গেলে সেখানেও আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকিধামকি দিয়ে জোরপূর্বক আমার শ্বশুর বাড়ীতে নিয়ে আসে। আমাকে এই অপকর্মের বিষয়টি কাউকে এমনকি সাংবাদিকদের জানালেও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম
গাংনী,মেহেরপুর

Post a Comment

Previous Post Next Post