গাংনীতে স্বামীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  :মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর(পুকুর পাড়া) গ্রামে ফরিদা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূ স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।অন্যদিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী মেয়ে পরিবারের।আজ বুধবার ভোর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে দুই সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। মেয়ে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ফরিদা খাতুন দেবীপুর গ্রামের ময়নাল হকের স্ত্রী ও একই গ্রামের কিতাব আলীর মেয়ে । ফরিদা খাতুন আত্মহত্যা করেছে নাকি তার স্বামী হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে চালিয়ে দেবার অপচেষ্টা চালিয়েছে।এই রহস্যাবৃত ঘটনায় গ্রামে নানা গুঞ্জন চলছে।
স’ানীয়া জানায়, স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা ও মিথ্যা অপবাদ তুলে ময়নাল তার স্ত্রী ফরিদাকে বেধড়ক মারধর করে দুই হাত ভেঙ্গে দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন চালায় । এই অপবাদ সইতে না পেরে ফরিদা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে মেয়েরভাই মুকুল জানায়, স্বামী ময়নাল হক আমার বোনকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে মারা গেলে নিজের দোষ আড়াল করতে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। মামলার প্রস’তি চলছে।
অন্যদিকে উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে শাবানা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূ গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শাবানা পার্শ্ববর্তী হাড়িয়াদহ গ্রামের ওসমান আলীর স্ত্রী এবং মহিষাখোলা গ্রামের মোক্তার আলীর মেয়ে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে স্বামী ময়নাল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস’া নেয়া হবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post