
এদিকে ঘটনার পর গাংনী থানা পুলিশ হোটেল মালিক অভিযুক্ত বিষুকে আটক করলেও অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দিয়েছে। এ নিয়ে চলছে এলাকাবাসির মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ।
শিশু শ্রমিক লিখন জানান, আমার পেটে যন্ত্রনা করার কারনে সকালে উঠতে পারিনী। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হোটেলে না যাওয়ার অপরাধে সকাল ৭ টার দিকে আমার মালিক বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় গিয়ে তুলে এনে মাথায় তুলে আঁছাড় মারে। এতে আমার বাম হাতটি ভেঙ্গে যায়।
শিশুর পিতা আতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনার পর আমার ছেলেকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করি। এছাড়া বিষুর বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ বিষুকে গ্রেফতার করে এনে থানায় নিয়ে এসে আবার ছেঁেড় দিয়েছে। বিষু ছেলে চিকিৎসা বাবদ ২ হাজার টাকা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিষুর স্ত্রী হামিদা খাতুন সাংবাদিকদের নানাভাবে হুমকী দেয়া শুরু করে। হামিদা খাতুন সেভ দ্যা চিলড্রেনের শিশু সুরক্ষা কমিটির স্থানীয় সভাপতি বলে জানা গেছে।
গাংনী থানার তদন্ত অফিসার সাজেদুল ইসলাম জানান, আমাকে অভিযোগ দেয়ার পর তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছিল। তারপর শিশুটির পিতা মাতা আসলেও বিষূর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বলা হয়েছে। পরে সিরিয়াস কিছু হলে আইনগত ব্যবস’া নেয়া হবে।