বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা প্রতিনিধি॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোবাইল চুরির অভিযোগে শরিফ হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স’ানীয় আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের বেলাল মিয়ার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার সময় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বেলাল মেম্বারের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। নিহত শরিফ হোসেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজি এলাকার তারু মিয়ার ছেলে। তিনি কোমাল্লা গ্রামে আবদুল হামিদের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ ও স’ানীয় সুত্রে জানা গেছে, সমপ্রতি ঘোলপাশা ইউনিয়নের মেম্বার বেলাল মিয়ার নানার বাড়িতে মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চোর সন্দেহে শরিফ হোসেনকে শশুর বাড়ি থেকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় বেলাল মেম্বার। সেখানে সোমবার রাতভর ও গতকাল মঙ্গলবার সকালে শরীফকে মারধর করে। দুপুরে মেম্বারের বাড়িতেই শরিফের মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে শরিফের লাশটি উদ্ধার করে।
ঘটনা সম্পর্কে ঘোলপাশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য বেলাল মিয়া জানান, প্রতিদিন ওই এলাকায় অসংখ্য মোবাইল, ল্যাপটপ, সিলিং ফ্যান চুরি হয়। সব চুরির সাথে শরিফ জড়িত। সোমবার আমার নানার বাড়িতে সিলিং ফ্যান ও মোবাইল চুরি করে শরিফ। পরে আমি জানতে পেরে তাকে ধরে এনে কয়েকটা থাপ্পড় দেই। রাতে তাকে ভাত খাওয়ার জন্য বললেও সে খায়নি। মঙ্গলবার আমার বাড়িতে হঠাৎ করে সে মারা যায়। ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছি আছি। চুরির বিষয়ে পুলিশকে আগে জানাননি কেন প্রশ্ন করলে বেলাল মিয়া জানান, প্রতিদিন চুরি হয়। পুলিশ এসব গুরুত্ব দেয় না। পুলিশ এদেরকে ধরে আবার ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফয়সল জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সব সময় সজাগ রয়েছে। আমাদেরকে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। শরীফের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে পুলিশের একাধিক কাজ করছে।