আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ গাংনীর গাঁড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে খেলা করার অপরাধে নিরাপরাধ শিশু শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে।অমানবিক এহেন ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৩১ জানুয়ারী রোজ বুধবার বিকেলে গাঁড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।এনিয়ে আহত ছাত্রদের অভিভাবক ও গ্রামবাসী উপযুক্ত বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে। এরকম গর্হিত কাজ করায় এলাকায় সমালোচিত হয়েছেন নানা অপকর্মের নায়ক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান।
জানা গেছে, স্কুল শেষে গাঁড়াডোব গ্রামের শিক্ষক সামসুজ্জামান এর শিশু পুত্র শাওন ও শোভন ( গাংনী প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের ৯ম ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র), আযান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের ছেলে সিহাবুর রহমান (সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেনির ছাত্র্)সহ ৫/৬ জন ছেলে বিকেলে স্কুল মাঠে খেলা ধূলা করছিল। এসময় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান সু্কল মাঠে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে ছেলেগুলোতে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে আহত কর্ে।পরে আহত ছাত্ররা বাড়ীতে অভিভাবকদের কাছে ঘটনা খুলে বললে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পাশাপাশি ২/১ জন অভিভাবক ঘটনা জানতে প্রধান শিক্ষকের নিকট আসলে তাদের সাথেও প্রধান শিক্ষক অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়।অভিভাবকরা বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে অবহিত করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। গাঁড়াডোব গ্রামের সচেতন মহলের দাবী বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুধু খেলা করার অপরাধে ছেলে গুলোতে পেটানো হলো। অথচ স্কুলে নাইট গার্ডের সহযোগিতায় রাতের বেলায় মাদকাসক্তদের আড্ডা ও অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটে সেব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কোন ভূমিকা দেখা যায়না।এদিকে প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের রোষানল থেকে রেহায় পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে আজ সোমবার বিকেলে সালিস মিমাংসার আয়োজন করা হয়।উভয় পক্ষের লোকজনের কাছে বিস্তারিত ঘটনা শুনে প্রধান শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়ে আপোস মিমাংসা করে দেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান, সমবায় অফিসার মিলন কুমার দাশ, ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান সহ গাঁড়াডোব গ্রামের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপসি’ত ছিলেন।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম
গাংনী,মেহেরপুর
তাং-০৫-০২-১৭ ইং
মোবাঃ ০১৭১৭-০০৮৩৫৫