বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: আমন ধান কাঁটা শেষ, উঠানেও তোলা শেষ। ধূঁ-ধূঁ ফাকা বিল। তার মাঝে যেখানে, খাল-পুকুর আছে সেখানে চাষ হচ্ছে বোরো ধান। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে বোরো চাষে। সময় বদলের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা। তাই কমিনিউটি আদর্শ বীজতলা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলাছে কৃষকের ধারনা। বিশেষ করে প্রযুক্তির ছোয়ায় প্রতিনিয়ত আমূল্য বদলে যাচ্ছে এখানকার কৃষিতে। তার মাঝে আবার জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘেরে আইলে শীতকালীন সবজি চাষ করছে। দেখা যায়, এনএটিপি-২ সহায়তায় কমিনিউটি বীজতলা, সবজির খেত প্রদর্শনী খামার। ফলে শীতকালীন সবজিতে মনোরম এ সকল খেত।
সরেজমিনে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করতে। আবার ঘেরের আইলে সবজি চাষসহ বসত বাড়ির আঙ্গীনায় ছোট ছোট সবজির খেতও চোখে পড়ে।
এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ঘেরের আইলে শীতকালীন সবজি চাষ করেছে তিলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক তাপস বিশ্বাস। তিনি জানায়, বেগুন, টমেটো চাষ করেছি ১বিঘা জমিতে। এ পর্যন্ত টমেটো বিক্রয় করেছি বিশ হাজার টাকার। আরও বিক্রয় করতে পারব।
তিলডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া গ্রামের কৃষক কমলেশ শীল বলেন, ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে সফল হয়েছি। সবজির সাথে মাছও চাষ করতে পারছি। আর ঘেরের পানি দিয়ে তরমুজও চাষ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসের সুত্রে, ৪০হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। ৩০০ ঘেরের আইলে শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত ২৫ জন কৃষকের সাথে কথা হয়। তারা জানায়, তরমুজ ও সবজি চাষে সফল হয়েছি। বোরো চাষে উঠে-পড়ে লেগেছি। বীজতলা দেখতে ভালো লেগেছিল। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আমন ধানের মত বোরো ফসল পাবো।
সুত্রে আরও জানাযায়, উপজেলার ৩টি পোল্ডারে বিভক্ত। তার মাঝে ৩২নং পোল্ডারে বোরো চাষ অন্য পোল্ডারের তুলনায় একটু বেশি। তবে বাজুয়া ইউনিয়নে সবজি চাষ ভালোই বেশি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, লবণাক্ত উপজেলায় ফসল ফলাতে কষ্ট-সাধ্য হলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক যাতে বছর জুড়ে খেতে কাজ করে, দেশের উন্নয়ন করতে পারে, সে জন্য আমরা তাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছি। দাকোপে সোনার ফসলে কৃষকের মন ভরে উঠুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।