আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মাঠ পাড়ায় সন্ধ্যা রাতে এক বিধবা মহিলার বাড়িতে রঙ্গলীলা খেলতে গিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছে তেরাইল কুঠিপাড়া গ্রামের যুবক নাজমুল হোসেন ওরফে শাহজামাল ও জেসমিন( প্রবাসীর স্ত্রী)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে ইটভাটার শ্রমিক বিধবা মহিলা শিউলি খাতুনের বাড়িতে স’ানীয় কয়েকজন বেরসিক জনতা তাদের দুজনকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস’ায় হাতে নাতে ধরে পুলিশে দেয়। আজ শুক্রবার সকালে গাংনী থানা পুলিশ কপোত-কপোতিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় জোড়পুকুরিয়া গ্রামে চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বিধবা ঐ মহিলা তার বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে গেলেও পরে স’ানীয়দের চাপে বাড়ীতে অবস’ান করছে।
স’ানীয়রা জানান, ষোলটাকা ডোবাপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আঃ ওহাব এর মেঝো মেয়ে জেসমিন খাতুন (প্রবাসীর স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানের জননী)পার্শ্ববর্তী তেরাইল কুঠিপাড়া গ্রামের বখাটে যুবক নাজমূল হোসেন ওরফে শাহজামাল এর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।্্ঐ দিন রাতে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে জোড়পুকুরিয়া মাঠপাড়ার নানা অপকর্মের ঘটক ডাইনি বুড়ি শিউলি খাতুনের বাড়ীতে ঢুকলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তাদের আটক করা হয়।
অসামাজিক কাজে সহযোগিতাকারী শিউলী খাতুন মৃত সিরাজুল হকের স্ত্রী ।
জেসমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,৬ বছর আগে মেহেরপুরের গোভীপুর গ্রামে মজনু নামের (বর্তমানে প্রবাসী ) একজনের সাথে দ্বিতীয় বারেরমত বিয়ে হয়।তাদের সংসারে ৫ বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্বামী বিদেশে থাকার কারনে জেসমিন ছোট মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে নাজমূল হোসেন প্রেমিকা জেসমিনকে নিযে ঐ বিধবা মহিলার সহযোগিতায় ঘরে প্রবেশ করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে স’ানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের আপত্তিকর অবস’ায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নাজমুল হোসেন ও জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইনগত ব্যবস’া নিতে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।