কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : মেজো ভাই রফিকুল মালিথার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছোট ভাই শফিকুল মালিথার। সেই রাগে মেজো ভাইয়ের মেয়ে নবম শ্রেণীর মেধাবী স্কুল ছাত্রী রিমি খাতুনকে (১৪) রড ও বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে দু পা গুড়িয়ে দিয়েছে আপন ছোট চাচা শফিকুল মালিথা। এ ঘটনায় রোববার সকালে রিমির বাবা রফিকুল মালিথা কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। দুপায়ে প্লাষ্টার নিয়ে রিমি খাতুন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিক ১ নং ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। রিমি খাতুন কে এস এম ঢাকা মিনাপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। কাল মঙ্গলবার রিমি’র ফাইনাল পরীক্ষা। দু পা ভেঙে যাওয়ায় তার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই শরিকানা জমি নিয়ে রিমি খাতুনের দিন মজুর পিতা রফিকুল মালিথার সাথে ছোট চাচা শফিকুল মালিথার বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই শফিকুল ও তার স্ত্রী রুপালী খাতুন লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও বাটাম নিয়ে রিমির ওপর চড়াও হয়। এলোপাথাড়ি মারপিটে রিমি খাতুনের দুই পা থেতলে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিমি খাতুন জানায়, জমি নিয়ে আমার বাবা ও চাচা শফিকুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েক দিন আগে ছোট চাচা এবং চাচী মিলে আমার মা বিলকিচ খাতুনকে মারপিট করে। শনিবার আমার মা ডাক্তারের কাছে গেলে আমার চাচা ও চাচী আমাকে একা পেয়ে আমার ওপর লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলাপাথাড়ি মারপিট করে। এসময় আমি চাচা-চাচীর পা ধরেও রক্ষা পাইনি।
রিমি খাতুনের বাবা রফিকুল মালিথা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে তাই বলে আমার স্কুল পড়-য়া মেয়েকে এভাবে আঘাত করবে তা কল্পনাও করিনি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
তবে রিমির চাচা শফিকুল মালিথা রিমিকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, রিমির দুইপায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে ডান পায়ের আঘাত গুরুতর। চিকিৎসা চলছে। ভাল হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে রিমির পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার রাতে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস’া নেয়া হবে।