রাজস্ব আদায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা

ইঁলিশের
খুলনায় সরকারি পাইকারী মৎস্য বাজার একমাসে ১৩৭ মেট্রিক টন ইলিশ অবতরণ
 পাইকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমছেনা

বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: খুলনা নগরীর ৫নং স্কিড ঘাটের বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন’র পাইকারি মৎস্য বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে ১মাস ৮দিনে ১৩৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ অবতরণ করে। এর বিপরীতে ৭লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৮ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। জুলাই ও চলতি মাসের ৮ তারিখ পর্যন- এ রাজস্ব আদায় করা হয়। রূপসা পাইকারি মাছ বাজার না থাকলে আরো মাছ অবতরণ করতো ও রাজস্ব বৃদ্ধি পেতো বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেন।
সূত্র জানিয়েছেন, পাইকারী বাজারে মাছের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনার আড়ৎদাররা বা জেলেরা সমুদ্র হতে মাছ ধরে খুলনার পাইকারি মাছ বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করে। এরমধ্যে কিছু মাছ অবৈধভাবে রূপসা মাছ বাজারে বিক্রি করে থাকে। এ বাজারটি মৎস্য অধিদপ্তর থেকে স্বীকৃতি প্রাপ্ত না। বিএফডিসির পাইকারি বাজারে বিভিন্ন জায়গা হতে ট্রাক ও পিকআপ ভরেও মাছ আসে।
বিএফডিসির পাইকারি মৎস্য বাজারে ১ কেজি হতে সোয়া কেজি ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। যার প্রতি কেজি ১২৫০টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২১২৫ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মন ৩২-৩৩ হাজার টাকা। যার প্রতি কেজি ৮০০টাকা। খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ৯৫০টাকা। ৪০০-৫০০গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ১৬-১৭ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ৪০০-৪২৫ টাকা। খুচরা ৪৭৫টাকা এবং ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। প্রতিকেজি ৩৫০-৩৭৫টাকা। খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ৪২৫টাকা। পাইকারির চেয়ে খুচরা বাজারে প্রকার ভেজে মূল্য বৃদ্ধি। শুধু মাত্র বড় মাছে প্রতি কেজিতে ৮৭৫টাকা বেশী। একই বাজার থেকে পাইকারি মাছ কিনলেও বিভিন্ন বাজারে দাম ভিন্ন।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেছেন। যার জন্য প্রচুর আমদানি সত্বেও দাম কমছেনা। দাম কমলে সব শ্রেণির মানুষ ইলিশের স্বাদ পেতো। তার পর বরফের দামও একটু বেশী।
নগরীর ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আতিয়ার রহমান গাজী বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেছে। আমদানি সত্বেও দাম কমছে না। দাম কমলে সকলে কিনতে পারতো। তারপর বরফের দামও বেশী। প্রতিপিস কিনতে হয় ২৫০টাকা। এরপর পরিবহন ও শ্রমিক খরচতো রয়েছে। মাইকিং করে মাছ বিক্রির বিষয় তিনি বলেন, খাবার অনুপযোগী মাছ মাইকিং করে বিক্রি করা হয়।
পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, একটি ট্টলার সমুদ্রে পাঠাতে লাখ টাকা খরচ করতে হয়। সব কিছু দিয়ে সমুদ্রে পাঠিয়ে দুশ্চিনে- থাকতে হয়। ফিরো না আসা পর্যন- স্বসি- পাওয়া যায় না। এর প্রভাব পড়ে মাছের ওপর। এ বছর ডাকাতের প্রভাব কম রয়েছে। এ দিক থেকে ভালোই রয়েছেন ব্যবসায়ীসহ এর সাথে সংশ্লিষ্টরা।
বিএফডিসি’র পাইকারি মৎস্য বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস’াপক মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, মাছের আমদানি বেশ ভালোই আছে। মাছ যতই বিক্রি হবে সরকারি রাজস্ব ততই বৃদ্ধি পাবে। তবে রূপসা অবৈধ পাইকারি মাছ বাজার না থাকলে রাজস্ব আরো বৃদ্ধি পেতো। তিনি এ বাজারটি বন্ধের দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post